• স্বাস্থ্য

রংপুর (রমেক)ময়লা আবর্জনার তীব্র গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

  • স্বাস্থ্য
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৫৮:৩৭

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ  রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল চত্বরসহ আশপাশে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে খাবারের উচ্ছিষ্টসহ নানা আবর্জনা।ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এসময় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে উদ্যোগ গ্রহন করেন। হাসপাতালে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা এসব আবর্জনা যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর)সকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর প্রশাসক।রংপুর মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন পয়েন্টে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় আর উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃআঃমঃআখতারুজ্জামান,রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিক) হাবিবুল হাসান রুমি,সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধাসহ প্রশাসনের কমকতারা। এর আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক।সে সময় এমন চিত্র দেখা গেছে।সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা আর নোংরা পরিবেশে হাসপাতাল যেন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত ২ হাজার রোগী থাকেন।

চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ হাসপাতালের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা ও মেডিকেল বর্জ্য জমা হয় বিভিন্ন স্থানে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে, সাইকেল গ্যারেজের বিপরীতে, পূর্ব গেটের প্রবেশমুখসহ হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা।পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকাসহ সচেতনতার অভাবে সেখানে প্রতিনিয়ত খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলছেন রোগীর স্বজনরা। আর হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও ফেলছেন মেডিকেল বর্জ্যসহ নানা আবর্জনা। এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। রোগির স্বজনরা বলছেন, দুর্গন্ধের কারণে হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সুস্থ হতে এসে অনেকেই হাসপাতালের বাইরের নোংরা পরিবেশে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দীর্ঘ দিনেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। রোগির সাথে আসা পরিবারের লোকজন সবুজ,লালু মিয়া বলেন,এখানকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। সবদিকেই শুধু ময়লা আবর্জনার স্তূপ। দীর্ঘদিন ধরে এসব আবর্জনা ও মেডিকেল বর্জ্য নিয়ম মেনেঅপসারণ করা হচ্ছে না। এ কারণে কোনো আবর্জনার  স্তূপ পঁচে সেখান থেকে তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নিকট আত্মীয়কে দেখতে এসেছেন নাসিমা আক্তার বলেন ভেতরের অবস্থা কিছুটা ভালো। মোটামুটি আগের চেয়ে গন্ধ কম।

কিন্তু হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। চারপাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। এখান থেকে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।রোগীরা বাইরে থেকে আসা দুর্গন্ধে অস্বস্তিতে থাকেন। সাধারণ মানুষ আর রোগীদের মতো হাসপাতালের চিকিৎসক,শিক্ষার্থীদেরও একই অভিযোগ। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার চুল্লি নেই।

হাসপাতালের বর্জ্য সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.আঃমঃআখতারুজ্জামান দাবি করেন বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থান আছে। এরপরও অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্বে ঠিকাদার রয়েছে। হাসপাতালের ওয়ার্ড সার্বক্ষণিক পরিষ্কার থাকবে। বাইরে কোথাও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ তা পরিস্কার করা হচ্ছে।

তারপরও যদি নির্দিষ্ট স্থানে ছাড়া কোথাও বর্জ্য পড়ে থাকে, তা মনিটরিং করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান,যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করি, পরিচ্ছন্ন রংপুর গড়ি, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলি।জেলা প্রশাসক বলেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হবে পরিষ্কার।তিনি বলেন সবাই এই বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকি।পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সবাইকে রাখতে হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo