• জাতীয়

জাতিসংঘ তদন্ত করছে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনা

  • জাতীয়
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৫৭:২৪

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে মাঠ প্রশাসনসহ যারাই জড়িত ছিলেন,তারা কেউই আইন ও সাজার বাইরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান।তিনি বলেন আবু সাঈদ হত্যা মামলায় জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না।

রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরে পৌঁছান সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান।পরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।এসময় তিনি আবু সাঈদের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেন।

১৪ জন সচিবসহ বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বদলীসহ ওএসডি করা হয়েছে। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কেউ ছাড় পাবে না।জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত-নিহতদের বিষয়ে দেশীয় তদন্ত দলের সাথে জাতিসংঘের একটি দল কাজ করছে বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান। সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সরকার জনগণের হয়ে কাজ করছে।এবার এর প্রতিফলন দেখতে পারবেন। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনন্দোলনে নিহত-আহতের ঘটনাগুলো আদালতে বিচারাধীন।বেশি কথা বলা যাবে না। জাতিসংঘ বিষয়গুলোর তদন্ত করছে।ঘটনায় মাঠ প্রশাসনসহ যারাই জড়িত ছিলন, তারা কেউই সাজার বাইরে যাবে না।

শহীদ আবু সাঈদ প্রসঙ্গে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদ এখন ইন্টারন্যাশনাল ফিগার। আমি ভাগ্যবান, তার কবর জিয়ারত করতে পেরেছি। আবু সাঈদ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, সেই বিশ্ববিদ্যালয় কারমাইকেল কলেজের জমিতে প্রতিষ্ঠিত। আমি কারমাইকেল কলেজের ছাত্র ছিলাম। যাই হোক, এই যে অভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব যাই বলি না কেন,এই জাতি সারাজীবন আবু সাঈদকে
স্মরণ করবে।’ তিনি আরও বলেন, শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারের নিরাপত্তা দেবে প্রশাসন। এসময় তিনি প্রশাসনকে আবু সাঈদের পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে আবু সাঈদের বাড়ি যাওয়ার সব সড়ক সংস্কার ও পাকাকরণের আশ্বাসও দেন তিনি।

এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) আজমল হোসেন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo