• সমগ্র বাংলা

মা‌নিকগ‌ঞ্জে গার্ড অব অনার শেষে নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন

  • সমগ্র বাংলা
  • ১০ মে, ২০২৪ ১৬:১৮:৪৩

ছবিঃ সিএনআই

মা‌নিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদের তৃতীয় জানাযা শেষে মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরাস্থানে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে গার্ড অব অনার শেষে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় ‌নিহত আসীম জাওয়াদের বাবা, বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পর্যা‌য়ের কর্মকর্তাসহ সরকা‌রের বি‌ভিন্ন দপ্ত‌রের কর্মকর্তা, রাজ‌নৈ‌তিক ব‌্যক্তিবর্গ ও আত্নীয় স্বজনসহ বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, শুক্রবার বাদ জুমা মানিকগঞ্জ জেলা শহরের শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়াম মাঠে নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদ জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়। আর দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে তার মরদেহ নিয়ে অবতরণ করে। নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদের মর‌দেহ মা‌নিকগ‌ঞ্জে পৌছা‌লে তাকে ‌শেষ বা‌রের ম‌তো এক নজর দেখতে ছুটে আ‌সে শত শত মানুষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আকাশে আগুন ধরার পর সেটি পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানের পাইলট ও কো পাইলট প্যারাসুটে নামেন। দুপুরে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট অসীম জাওয়াদ মারা যান।

নিহত আসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তবে তার বাবা মা জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতো। আর চাকরিজনিত কারণে আসীম জাওয়াদ স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ চট্টগ্রামে থাকতেন।

তার বাবা আমান উল্লাহ একজন চিকিৎসক আর মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। আসীম জাওয়াদ নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম অন্তরা আক্তার।

জানা গে‌ছে, ছাত্রজীবনে আসীম জাওয়াদ কখনো দ্বিতীয় হয়নি। অসীম জাওয়াদ ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ পান। ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে কমিশন লাভ করেন পাইলট অফিসার হিসেবে। তিনি পিটি-৬, এল-৩৯জেডএ, এফ-৭এমবি, এফ-বিজি১ ইত্যাদি বিমান চালিয়েছেন। তিনি ছিলেন এফ-৭এমজি১ এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘের মিশনে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন কোর্সের তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানে। এখন নিয়োজিত আছেন ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর'স স্কুল অফ বিএএফএ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে।

নিজের ট্রেনিং জীবনে সকল বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন সোর্ড অফ অনার। এসসিপিএসসি থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র সোর্ড অফ অনার বিজয়ী। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন মফিজ ট্রফি। এছাড়া দায়িত্বশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন চিফ অফ এয়ার স্টাফ থেকে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo