ছবিঃ সিএনআই
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনা সত্যি। লাল টুকটুকে মরিচে সাজানো দৃষ্টিনন্দন বিশাল মরিচের হাট। সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার বসে হাট।হাটের দিন করে ভোর বেলা থেকে মরিচের বহর নিয়ে চাষিরা হাটে আসতে শুরু করে। নৌকা এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে চর থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকাররা। এরপর শুরু হয় বেচাকেনার হাঁকডাক।
বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় ক্রেতা–বিক্রেতার ছোটাছুটি ও ব্যস্ততা। বস্তা বোঝাই হয়ে মরিচগুলো ওঠে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে। চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। মরিচের বাজার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ ওই স্থানে প্রতি হাটে প্রায় ৩ কোটি টাকার মরিচ কেনাবেচা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্রক্ষ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষা গাইবান্ধা জেলার পুরাতন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের পাশেই বসে এই মরিচের হাট। এই হাটে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের মরিচ চাষীরা এখানে বিক্রি করেন তাদের উৎপাদিত মরিচ। নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নদী পথেও ক্রেতারা নিতে পারেন মরিচ।
চরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের উৎপাদিত মরিচ বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণ শুকনো মরিচ হয়।যার প্রতি মণ মরিচ সাড়ে ৯ হাজার কিংবা ১০ হাজার টাকা বিক্রি হয়।তবে সময়ের চেয়ে দাম কম হওয়ার সামনের দিন গুলোতে মরিচের যথাযথ দাম নিয়ে দূচিন্তায় কৃষকরা।
তবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন,স্কয়ার, প্রাণ গ্রুপসহ নামি দামি প্রতিষ্ঠান মরিচ ক্রয় করার ফলে সহজে বিক্রি করতে পারছেন মরিচ।কিন্তু অনেক সময় বাজার সিন্ডিকেটে সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো খোরশেদ আলম বলেন, মরিচের হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি যদি মরিচ সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তাহলে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপকার হবে।সেই সঙ্গে মরিচের ভরামৌসুম হওয়ায় কৃষকরা দাম কম পাচ্ছে। তবে কিছু দিন গেলে মরিচের দাম বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ আইনজীবি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা...
গোপালপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল এসোসিয়েশন, উত্তরা এবং...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী ফেরিঘাট থেকে চিলম...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ শুক্...
মন্তব্য ( ০)