• সমগ্র বাংলা

জামালপুরে গাঁজা সেবন নিষেধ করায় বাড়িঘরে হামলা

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২০:২১:১৬

ছবিঃ সিএনআই

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর পৌর শহরের হাইস্কুল রোডে বাড়ির পেছনে সানি নামে এক বখাটেকে গাঁজা সেবন নিষেধ করায় ওই বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। প্রাণভয়ে বাড়ির লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) নম্বরে কল দিলে তিরিশ মিনিট পর পুলিশ এসেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই বাড়ির লোকজন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের মৃত আজহারুল ইসলামের ছেলে এমরান মোহাম্মদ মবিন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সানি কলেজ রোড এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই বাড়িতে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্র রাম দা, চাপাতি ও কোপা নিয়ে ওই বাড়ির গেটে আঘাত করে বাড়ির ভেতর ঢুকে যায়। বাড়ির অনেক জিনিসপত্র ভাংচুর করে তারা। এ সময় পরিবারের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবায় কল দেয়। দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই পরিবারের লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের মানুষজন এগিয়ে আসে। এতে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, 'সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়ির পেছনে কলেজ রোড এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে সানি গাঁজা সেবন করছিল। ভুক্তভোগী পরিবারের মবিন এতে প্রতিবাদ করলে সানি রাগান্বিত হয়ে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। দুপুর সোয়া ১২টার সময় সানিসহ ১৫-২০জন গুন্ডাপান্ডা মিলে ওই বাসার গেইটে এলোপাতাড়ি কোপ ও লাথি দিয়ে গেইট খুলে বাসায় মধ্যে প্রবেশ করে। ঘরের ফার্নিচার ও কাঁচের জিনিস ভাংচুর করে। তাদের হাতে রাম দা, চাপাতি, কোপা ছিল। পরিবারের লোকজন ভীত হয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে রাখে এবং জাতীয় জরুরি সেবায় কল দেয়। এরই মধ্যে এলাকার মানুষ এগিয়ে এলে সানি ও তার দলবল ঘটনাস্থল থেকে প্রস্থান করে।'

ভুক্তভোগী পরিবারের মৃত আজহারুল ইসলামের ছেলে এমরান মোহাম্মদ মবিনের অভিযোগ, 'আমরা প্রাণভয়ে ভীত হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে কল দেই। তিরিশ মিনিট পর জামালপুর সদর থানা থেকে পুলিশ আসে। অথচ আমার বাড়ি থেকে থানার দূরত্ব দুই কিলোমিটারেরও কম। পুলিশ আসার আগেই দুর্বৃত্তরা বাড়ির গেট কুপিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে বাড়ির জিনিসপত্র ভাংচুর করে চলে যায়। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ও বাসা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছি।'

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহব্বত কবীর জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo