ছবিঃ সিএনআই
সাতকানিয়া প্রতিনিধিঃদক্ষিণ চট্টগ্রামের উপশহর নামে খ্যাত কেরানীহাটের রাস্তাঘাট, ফুটপাত ও বিভিন্ন স্থাপনার দিকে তাকালেই অসংখ্য বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রজেক্ট সাইন দেখা যায়। যেন প্রতিযোগিতা করে একটার পর একটা গা ঘেঁষে সাঁটানো হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিলবোর্ড-সাইনবোর্ডে ভাটা পড়ছে কেরানীহাটের সৌন্দর্যে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রচার-প্রচারণার আধুনিক এসব মাধ্যম এখন কেরানীহাট মোড়ে।
প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে সবখানেই ঝুলছে। শুধু তাই নয়, ইদানিং বহুতল ভবনের দেয়ালেও প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন। আবার কোথাও কোথাও ভবনের ছাদেও ভাড়ায় দাঁড়িয়ে আছে অবৈধ বিলবোর্ড। অনেক স্থানে রাস্তার ওপর মাঝামাঝি বড় বড় বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এসব সাঁটানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কেউই আইন মানছে না।
বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়িত স্থাপন করা হচ্ছে নতুন নতুন বিলবোর্ড। বাদ পড়ছে না ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটানো। কেউ কেউ অনুমতি নিয়ে এসব বোর্ড স্থাপন করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে যার ইচ্ছেমত বিজ্ঞাপন বোর্ড বসিয়ে ব্যবসার বা ব্যক্তিগত নয়তো প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ। যে কারণে ছোট বড় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, চিকিৎসাকেন্দ্র, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে বৈদ্যুতিক কুটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান ভরে গেছে। এমন দৃশ্য দেখে যে কারো মনে হতো পারে কেরানীহাট এখন বিলবোর্ডেরে উপশহর।
এক কলেজ ছাত্র জায়েদ বিন ইসহক বলেন, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন একদিকে যেমন কেরানীহাটের সৌন্দর্য নষ্ট করছে, আরেকদিকে এগুলো চলাচলে ঝুঁকি তৈরি করছে।
ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ডামে বামে যেদিকে দেখবেন শুধু বিজ্ঞাপন বোর্ড আর বিজ্ঞাপন বোর্ড। রাস্তার মাঝের ডিডাইভার থেকে শুরু করে ভবনের ছাদ পর্যন্ত অন্তত ১৫-২০টি বিলবোর্ড আছে। ব্যানার, ফেস্টুন তো অসংখ্য। যতদূর জানি এসবের অধিকাংশ অনুমোদনহীন। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বোর্ডের কারণে ঝড়-বৃষ্টির সময় সবার মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে।
নাঈমুল ইসলাম বলেন, ঝড় উঠলে মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। কখন বিলবোর্ড ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন তো আমাদের কেরানীহাট সড়কের মাঝখানে ও দুপাশেসহ বহুলতল ভবনগুলোতে বিজ্ঞাপনের বাহার। হরেক রকম বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে। দেখে বোঝাই যায় এসবের বেশির ভাগই অবৈধ। এখন এই যে এতগুলো সাইনবোর্ড আমাদের মাথার ওপর ঝুলছে, এগুলোর দায়িত্ব কে নেবে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টন বিশ্বাসের সাথে কথা বললে । তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করে সবার সম্মতিক্রমে এবিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী ম্য...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেল...
বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃব...
রংপুর ব্যুরোঃ বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ...
মন্তব্য ( ০)