ছবিঃ সিএনআই
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা মামলায় ল পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (১৫), নিয়ামতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২০), কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা (৩৩), নলমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সালমান জাহান জান্নাত (২১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের ফজলুল হক। এ সময় লুন্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মূলত মোটরসাইকেলের জন্য ওয়ার্কশপ কর্মচারীকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়৷ সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিং এ তথ্য জানান।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের ভিতর থেকে নাহিদ হাসান নামের এক ওয়ার্কসপ কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।
সুজুকি জিক্সার এসএফ মোটরসাইকেলটি (যার রেজিষ্ট্রেশন নং-টাঙ্গাইল-ল-১২-৮৯৪৬) নিয়ে পালিয়ে যায়। এই সংক্রান্তে ঘাটাইল থানার মামলা নং-১৭, তারিখ-২৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩০২/৩৯৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত হত্যা মামলার ঘটনাটি ক্লু-লেস, লোমহর্ষক এবং চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), টাঙ্গাইল এর নেতৃত্বে দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করার জন্য ডিবি, টাঙ্গাইল একটি চৌকস পুলিশ টিম ও অফিসার ইনচার্জ ঘাটাইল থানা পুলিশের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সোহাগকে যাত্রাবাড়ীর কদমতলী এলাকা থেকে রোরবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্য মতে অপর আসামী নাজমুলকে গোলাবাড়ি বাস স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজমুলের দেয়া তথ্য মতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদিজার দেয়া তথ্য মতে অন্য দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ লুন্ঠিত মোটর সাইকেলের জন্য নাহিদকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামী সোহাগের কথিত খালাতো ভাই ছিল নাহিদ। ঘটনার দিন ওই ওয়ার্কশপের আশেপাশে তাদের দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, সোহাগকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে সে জানায়, নাহিদ আমার খালাতো ভাই হয়। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল নিবে। পূর্ব পরিকল্পনাভাবে নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির জন্য তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে৷
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুই বছরের স...
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: রূপগঞ্জের পূর্বাচলে প্রাইভেট ...
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ চুল ও দাড়ি কেটে মানুষকে আকর্ষন...
মন্তব্য ( ০)