• অপরাধ ও দুর্নীতি

উলিপুরে সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৭:২৩:০১

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম উলিপুরের ধামশ্রেনী ইউনিয়নের চৌমহনী বাজারের সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে টং ঘর তুলেছেন এক লন্ড্রি ব্যবসায়ী। গত ১৫ ফেব্রয়ারী বুধবার রাত ২টায় দোকান নির্মাণ করেন শফিকুল ইসলাম। এতে সাধারণ ব্যবসায়ী ও পথচারী মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে, যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ ঘটতে পারে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীরা।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম- চিলমারী ডিসি-৫০ এবং উলিপুর-বাগুয়া অনন্তপুর রাস্তার কেন্দ্র স্থলে এবং উপজেলার ধামশ্রেনী, হাতিয়া ও ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের সীমানায় চৌমহনী বাজারটি অবস্থিত। বাজারের চৌমোড়ে সাবেক এমপি মরহুম মাঈদুল ইসলাম হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলীর মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, পথচারী এবং বাজারে আসা মানুষজনের বসার জন্য জায়গাটি সরকারি প্রকল্পের অর্থায়নে ইট দিয়ে মুক্তমঞ্চ হিসেবে বাঁধাই করে দেন এবং একটি গাছ রোপন করেন।

বাজারের অন্যান্য জায়গা অস্থায়ীভাবে ব্যবসায়ীদের মাঝে লীজ দিলেও মুক্তমঞ্চের জায়গাটি কাউকে লীজ দেয়া হয়নি। সেময় হতে এখন পর্যন্ত দখলকৃত স্থাপনায় পথচারী, বাজারের আসা-যাওয়া মানুষজন বসে বিশ্রাম নেন এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান, সভা মিটিংসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বাজারের পান ব্যবসায়ী মহুবর মিয়া বলেন, ঐ রাতে আমি ১২টার পর বাড়ী চলে যাই। পরের দিন এসে দেখি মানুষজন বসার জায়গাটিতে ঘর তুলেছে। বাজারের পাহারাদার আয়নাল হক বলেন, রাত ২টার সময় আমার বাধা উপেক্ষা করে শফিকুলসহ কয়েকজন লোক  এই জায়গায় দোকান ঘর তুলেছেন।

হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক এমপি একেএম মাঈদুল ইসলাম সরকারি প্রকল্পের অর্থায়নে পথচারী ও বাজারের আসা মানুষজনের বসার জন্য এই জায়গাটি ইট দিয়ে বাঁধাই করে দেন সেই সাথে একটি গাছের চারা রোপন করেন। গাছটি এখন বড় হয়েছে। গাছের ছায়ায়  মানুষজন বসে এবং বাজারের সভা মিটিং  বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। আজ এই জায়গাটি বেদখল হলে বাজারে আর কোথায় মানুষজন বসার বা মিটিং সালিশ অনুষ্ঠান করার জায়গা পাবে না। জায়গাটি  উম্মুক্ত রাখার জন্য  আমি প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাই।

স্থানীয়রা বলেন, অবৈধ দখলদার শফিকুল ইসলাম ইতিপুর্বে বাজারের একটি ফাঁকা জায়গা ঘর তুলে বেদখল করে রেখেছেন আবার নতুন করে সরকারি স্থাপনার উপর ঘর তুললেন। বাজারের সরকারি জায়গা ও স্থাপনা যেভাবে বেদখল করেছে এখানে হাট ইজাদারের যোগসাজশে ছাড়া সম্ভব না। অবৈধ দখলদার শফিকুল ইসলামের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি সরকারি স্থাপনার উপর টং ঘর তোলার কথা স্বীকার করে বলেন আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।

এ বিষয়ে উলিপুর সহকারী কমিশনার (ভুমি) কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, সরকারি স্থাপনার উপর টং ঘরের মালিক শফিকুল ইসলামকে ঘর সরানোর জন্য বলা হয়েছে। যদি সে ঘর না সরায় তাহলে জেলা প্রশাসক স্যারকে জানানো হবে।পরে বুলড্রেজার দিয়ে ঘর ভাঙ্গা হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo