ছবিঃ সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্কঃ শৈশব থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত আবদুল্লাহ আল সেন্টু। শুরুটা মঞ্চ দিয়ে হলেও বর্তমানে কাজ করছেন পর্দায়। তবে এতদূর আসার পথটা খুব একটা সহজ ছিল না এই অভিনেতার জন্য। গায়ের রং কালো ও খাটো হওয়ায় অনেক অবহেলার সম্মুখীন হতে হয়েছে সেন্টুকে। গ্রামের মানুষজন তার এই শারীরিক গঠনের জন্য অভিনয়ে কিছু করতে পারবেন না বলে সবসময়ই উপহাস করতেন। তবে মানুষের অবহেলা পেলেও কিশোরগঞ্জের এই ছেলে সাপোর্ট পেয়েছিলেন পরিবারের।
ইতোমধ্যে সকলের সব উপহাস আর অবহেলা উপেক্ষা করে অভিনয় দিয়ে সেন্টু প্রমাণ করেছেন দক্ষতা এবং চেষ্টা থাকলে শারীরিক গঠন কখনও বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না সফলতার কাছে। আর তাইতো ‘বাংকার বয়’, ‘কারাগার’, ‘শুক্লপক্ষ’-এ প্রশংসিত হওয়ার পর এবার দর্শকদের নজর কেড়েছেন ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজে। এতে অ্যালেন স্বপনের ছেলে জাদুর চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন এই অভিনেতা।
গেল বছর আবিদ মল্লিকের প্রচলিত সিরিজের দ্বিতীয় গল্প 'বিলাই' এপিসোডে মূল ক্যারেক্টারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আবার আলোচনায় এসেছেন আব্দুল্লাহ আল সেন্টু। বলা যায়, ২৩ মিনিটের এ গল্পের ওয়ান ম্যান আর্মি তিনি। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাদু দেখিয়েছেন। অবহেলার স্বীকার সেন্টু একেক মোমেন্টে দুর্দান্ত এক্সপ্রেশেন দিয়েছেন। একদম ন্যাচারাল অভিনয় করেছেন। যাকে দেখে মনে পড়ছে করোনার সময়ের সেই ভয়াবহ দিনগুলির কথা। কষ্টের কথা। অনিশ্চয়তার কথা।
এদিকে নতুন বছররে ফের চমক দেখানেন সেন্টু। ‘পুনর্জন্ম’ খ্যাত ভিকি জাহেদ পরিচালনা করেছেন চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘টিকিট’। এতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেন্টু। এক রাতে বাস যাত্রায় টাকার লোভে একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে দুই বন্ধু সালেক-আতাবর। লোভের এই চক্রে এক এক করে জড়াতে থাকে বাসের অন্য যাত্রীরা। শুরু হয় একের পর এক বিশৃঙ্খলা। শেষ পর্যন্ত একটি টিকিট নির্ধারণ করবে কারা হবে বিশৃঙ্খলার বলি আর কে জিতবে পুরস্কার?
নতুন এই ওয়েব সিরিজ দিয়েও নিজের জাত চিনিয়েছেন সেন্টু। বরাবরের মতোই তার বাস্তবধর্মী অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। বলা চলে ওয়েব সিরিজটিতে অভিনিয়কৃত অনেকের থেকেই নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন এই অভিনেতা।
আবদুল্লাহ আল সেন্টু বলেন, ‘টিকিট’এ কাজ করাটা আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। সিরিজটিতে আমার কথা বলার ধরণটা নিয়ে সবাই বেশ চিন্তির ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত ভয়ে ভয়েই শট দিয়েছি সেই ভাবেই কথা বলে। অবশেষে দর্শকের সেই কথা বলার ধরনটাই ভালো লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, আসলে একটি কাজ করা তখনই সফল হয় যখন সেই কাজটি নিয়ে দর্শক আলোচনা-সমালোচনা। আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ এত সুন্দর ভাবে আমাকে ও আমাড় কাজকে গ্রহণ করার জন্য।
বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ...
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে বোরো বীজের বরাদ্দে নেই কো...
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্...
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে দোতলা ভবনের এক...
মন্তব্য ( ০)