ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া ২৬ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে বেশির ভাগ আসনে ধরাশায়ী হয়েছেন দলটির প্রার্থীরা। ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ১১ আসনে।
২৮৩ আসনে মনোনয়ন দিয়ে ২৬৫ জনের মনোনয়ন বৈধ হয় জাতীয় পার্টির। শেষ পর্যন্ত দলটির একশ’র মতো প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। নৌকা ছাড় না পাওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের ফলাফল খুবই নাজুক। অধিকাংশ প্রার্থীরা ভোটের মাঠে দাঁড়াতেই পারেননি।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে ছাড় পাওয়া জাতীয় পার্টির ২৬ আসনের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন- রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান আশু, পটুয়াখালী-১ আসনে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মুজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এ কে এম সেলিম ওসমান, ফেনী-৩ আসনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বগুড়া-২ শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ।
বিএনপিবিহীন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ৪২ আসন ছেড়েছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ৩৩টিতে জয় পায় দলটি। এসব আসনে নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন না। বাকি নয় আসনের ছয়টিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে হেরে যান জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দলটিকে ২৬ আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। এর ২১টিতে জয় পায় লাঙ্গল। দুটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। দুটিতেই ভরাডুবি হয় লাঙ্গলের। দশম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগকে হারায় জাতীয় পার্টি। উপনির্বাচনে দুটি আসনে নৌকাকে হারালেও জাতীয় নির্বাচনে এটাই আওয়ামী লীগকে হারানোর একমাত্র উদাহরণ। গত দুবারের মতো আগামী সংসদে জাতীয় পার্টির প্রধান বিরোধীদল হওয়া অনেকটা অনিশ্চিত। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরাও জোট করে হতে পারেন সংসদের প্রধান বিরোধীদল। তাদের মধ্যেই একজন হবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমাদের সবসময় ভয় ছিল নির্বাচনে এনে আমাদের কোরবানি দেওয়া হয় কি না। তাহলে দেশে নির্ভেজাল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হবে। কিন্তু আমরা যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটে অংশগ্রহণ করেছি তখন দেখা যাচ্ছে ভিন্নচিত্র।
গতকাল সকালে নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৩ আসনের কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রংপুর নগরীর শিমুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ আইনজীবি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা...
গোপালপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল এসোসিয়েশন, উত্তরা এবং...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী ফেরিঘাট থেকে চিলম...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ শুক্...
মন্তব্য ( ০)