• সমগ্র বাংলা

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:১৯:৫৮

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যেক কার্ডধারী মৎস্যজীবীদের ২৫ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিয়া সাঈদ তা ১৬ কেজি করে দিলে তা নিতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

ঘটনাটি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের। সাইফুল ইসলাম সাঈদ ওই ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান বলে জানা গেছে। পরে সুবিধাবঞ্চিত ২৯ কার্ডধারী মৎস্যজীবী গত বৃহস্পতিবার রাতে সহকারী ভূমি অফিসে বিক্ষোভ করে। পরে জেলেদের পক্ষে সুরুজ দাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এরা কার্ডধারী জেলে নয়। অথচ সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী ওই ২৯ জেলে নিজ নিজ কার্ড হাতে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর  ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের মানবিক কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রত্যেক কার্ডধারী জেলেকে ২৫ কেজি  ভিজিএফ (চাল) বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সকল ইউপি সদস্যগণের অবগত ছাড়াই চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তেই গ্রামপুলিশ দিয়ে জেলেদের খবর দিয়ে পরিষদে ডেকে এনে ২৫ কেজির পরিবর্তে সাড়ে ১৬ কেজি চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। ওই চাল গ্রহণে জেলেরা অস্বীকৃতি জানালে চেয়ারম্যান চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাদের কার্ডগুলো চেয়ারম্যান তার লোক দিয়ে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ভিজিএফের (চাল) জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে না বলে জানান চেয়ারম্যান।

ইউপি সদস্য ইসমাতারা বেগম, রায়হান কবির ও আমিনুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুর ইউনিয়নে ১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শুধু কার্ডধারী জেলে পরিবার রয়েছে ৯১ জন। চেয়ারম্যান তাদের চাল দিবে আমরা কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান পরিষদের কোন সদস্যর সাথে পরামর্শ না করে যে কোন সিদ্ধান্ত যে কোন সময় একাই গ্রহণ করেন।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিয়া সাঈদ বলেন, এদের কোন চাল দিব না। এদের নামে কোন কার্ড নেই। এ বিষয়ে সাংবাদিককে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন তিনি।এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo