চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে চলমান ঘর্মঘট স্থগিত ঘোষনা করা হলো। জানা যায়, চুয়েটে গাড়ী পোড়ানোর প্রতিবাদ সহ ৪ দফা দাবীতে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটে যাত্রী সাধারনের জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। গত ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সেলিমা কাদের কলেজের সামনে মোটর সাইকেলে বাস চাপায় মেধাবী ২ শিক্ষার্থী প্রান হারায়। এরই জের ধরে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবী পেশ করে। এদিকে সরকার উক্ত নিহত ২শিক্ষার্থীর পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা করে অনুদান ঘোষনা করেন এবং আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্যে ৩ লাখ টাকা অনুদান ঘোষনা দেন।
অন্যদিকে চুয়েটের শিক্ষার্থী কর্তৃা গাড়ী পোড়ানোর প্রতিবাদে ক্ষতিপুরন সহ বিভিন্ন দাবীতে বাস মালিক সমিতি চট্টগ্রাম,ককসবাজার,খাগড়াছড়ি বান্দরবন রোড়ে গতকাল ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৪ দফার দাবীতে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষনা দিয়েছিল। দফাগুলো হলো-জেলার বিভিন্ন পোষ্ট ও ষ্টেশন থেকে লাইনম্যান সহ অনেক পরিবহন শ্রমিককে আইন শৃংখলা বাহিনীর নাম দিয়ে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দেয়া বন্ধ করা, চুয়েটের শিক্ষার্থী দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সড়কে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন।
কক্সবাজারে তিন মাস আগের ১টি সড়ক দুর্ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের জন্য অন্য একটি ব্যবস্থা একজন চেয়ারম্যান আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন এবং এই কাজে একজন স্থানীয় এম পি র এর নাম ব্যবহার করা হয়, এই অত্যচার বন্ধ করা, অবৈধ ও অনুমোদনহীন যান চলাচল বন্ধ করা। এই দিকে গতকাল ২৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গন পরিবহন মালিক শ্রমিক এক্য পরিষদের সংগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৃহত্তর চট্টগ্রাম গন পরিবহন মালিক শ্রমিক এক্য পরিষদের আহবায়ক মনজুরুল আলম চৌ: বলেন, সম্প্রতি চুয়েটের এই অনাকাঙ্খিত যে ঘটনা ঘটেছে এতে আমরা খুবই মর্মাহত।
এই ঘটনার পর চুয়েটের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ১টি ও পরে ২টি বাস পুড়িয়ে দেয়, বাস পোড়ানোর ক্ষতিপুরন দাবী করেন বৃহত্তর গন পরিবহন মালিক শ্রমিক এক্য পরিষদ। এতদসংক্রান্ত জেলা প্রশাসকের সাথে উক্ত বৈঠকে পরিষদের আহবায়ক মনজুরুল আলম বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের অনুরোধে চলমান ধর্মঘট স্থগিত করে নিলাম।
আমাদের গাড়ীতে কোন রকম হামলার শিকার হলে আমরা আমাদের চলমান ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো। বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো: ফখরুজ্জমান সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপািস্থত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এ,কে,এম গোলাম মোর্শেদ খাঁন, চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ:পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রাংগুনিয়া উপজেলা নির্বাহিী অফিসার, চট্টগ্রািম জেলা পুলিশের প্রতিনিধি বি,আর,টি সি র সহ-পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি। বৈঠকে পরিবহন মালিক শ্রমিকের ৪ দফা দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসও দেয়া হয়।
মন্তব্য ( ০)