জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পাঁচ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ প্রার্থীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান রহমতুল্লা রিমু। বক্তব্যে প্রার্থী জানান- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অংশ গ্রহনমূলক ও গ্রহনযোগ্য করতে উন্মুক্ত নির্বাচনের ঘোষনা দেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা না মেনে মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের নাম ঘোষনা করেন সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এর প্রতিবাদ করলে বাকী পাঁচ প্রার্থীদের নানা ভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করেন মির্জা আজম এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা। এছাড়াও মির্জা আজমের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদিন আয়না বলেন- ' ওবায়দুর রহমান বেলাল টানা তৃতীয় বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছে। তিনি মির্জা আজম মহোদয়ের আজ্ঞাবহ ও মেরুদন্ডহীন বলেই তাকে বার বার চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বেলাল সাহেব। এমন দূর্নিতীবাজ লোক আবার চেয়ারম্যান হলে মাদারগঞ্জের ক্ষতি হবে। আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি বলে উল্টো আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মেশাররফ হোসেন বাদল বলেন-' মির্জা আজম মহোদয় একজন সংসদ সদস্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। আমরা এখনো কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো অভিযোগ দেয়নি। আজ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু।' মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন- 'প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবৈধভাবে নানা সুবিধা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। বেলাল সাহেব দলীয় প্রার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চায়।
বক্তারা অতি দ্রুত দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারি দেন তারা। এসব বিষয়ে -৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মোবাইল ফোনে বলেন- 'দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষনার জন্য সেই দিন দলের নীতি নির্ধারকেরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলো। আমি সেই দায়িত্ব পালন করিনি। পরে দলের ২৭০০ নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট গ্রহন হয়।
সেই ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জনের নাম ঘোষনা করা হয়। এই নাম ঘোষনার পর এখনও মাঠ উন্মুক্ত আছে। চাইলে যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। তারা পাঁচজন ইতিমধ্যে প্রার্থীও হয়েছে। তাহলে বাঁধা কিভাবে আসলো? আর আমি কারো পক্ষ নেয়নি। কারো পক্ষে ভোট চায়নি। আমি নির্বাচনকে প্রভাবিত করছি না। আমার নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
মন্তব্য ( ০)