• সমগ্র বাংলা

বগুড়ায় আদালত প্রাঙ্গন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যুবককে হত্যা

  • সমগ্র বাংলা
  • ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:২৫:৩৭

ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে থেকে দুই আসামিকে তুলে নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং অপরজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম রোহান চৌধুরী (২২)। তিনি বগুড়া সদরের মানিকচক গ্রামের কামাল চৌধুরীর ছেলে। আহত মো. সেলিম (২০) কর্ণপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত সানোয়ারের ছেলে।

তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি রোহান ও সেলিম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেলিম বলেন, ‘ওই মামলার আরেক আসামি শাওনকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর রোহান ও আমি আদালতে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিই।

সকালে ইজিবাইক থেকে আদালতের সামনে নামার পরই গিয়াস ও তার বড় ছেলে মিঠুনসহ কয়েকজন আমাদের ঘিরে ফেলে। জোরপূর্বক আমাদের একটি অটোরিকশায় তুলে নেয় তারা। রাজাপুর ইউনিয়নের মন্ডলধরন গ্রামের পূর্বপাড়া কাজলের বাগানে নিয়ে দড়ি দিয়ে রোহান ও আমার হাত বেঁধে ফেলে। এরপর গিয়াস, তার দুই ছেলে মিঠুন ও সাগর হাতুড়ি দিয়ে আমাদের পেটাতে থাকে। তাদের সঙ্গে থাকা আরও ৫-৭ জন লাঠিসোটা, রড ও এসএস পাইপ দিয়ে প্রায় একঘণ্টা আমাদের মারধর করে। একপর্যায়ে রোহান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর অটোরিকশায় তুলে আমাদের জয়বাংলা হাটে ফেলে যায়।

দুপুরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রোহানকে মৃত ও আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোহানের চাচা ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘দিনদুপুরে আমার ভাতিজাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে গিয়াস বাহিনী। শাওন ও গিয়াসের দ্বন্দ্বের বলি হয়েছে তার ভাতিজা রোহান। এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনের মোবাইল ফোন বন্ধ। তাদের বাড়িঘরও তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo