• অর্থনীতি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিমার দাপট চলছে শেয়ারবাজারে

  • অর্থনীতি
  • ২০ জুলাই, ২০২৩ ১৬:১৪:০৬

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ বুধবারের (১৯ জুলাই) মতো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (২০ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

বিমা খাতের কোম্পানিগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখালেও বিপরীতে পথে হেঠেছে অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে মূল্যসূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেইসঙ্গে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। তবে বেড়েছে লেনদেনের গতি।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এতে দুই বাজারেই সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। মূল্যসূচক কমলেও দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেন।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখাতে থাকে বিমা খাত।

লেনদেনের সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতাও বাড়ে। এতে দিনের লেনদেন শেষে একাধিক বিমা কোম্পানি দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে বিমা খাতের ৪২টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে মাত্র ৩টির। আর সবখাত মিলে ডিএসইতে ৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির এবং ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। এ তিনটিই বিমা কোম্পানি।

বিমা কোম্পানিগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখালেও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৪৭ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৭৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৬৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৫ কোটি ২৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরডি ফুডের ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়াকিন পলিমার।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, সিমটেক্স, মিডল্যান্ড ব্যাংক, খান ব্রাদার পিপি ওভেন ব্যাগ এবং লুব-রেফ বাংলাদেশ।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে এক পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo