• বিশেষ প্রতিবেদন

আব্দুর রহিমের নার্সারী ব্যবসায় খুলে গেছে ভাগ্য দরজা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২০ জুন, ২০২৩ ১৮:৩৮:২২

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ছেলে বেলায় বেড়ে ওঠা গ্রামের মায়া মমতা ছেড়ে সাংসারিক সচ্ছলতার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন ইট পাথরের শহর ঢাকাতে।কংক্রিটে ঘেরা ঢাকা শহরের জিরানী বাজারে  শুরু করেন মুদির দোকান। কিন্তু ৪ বছর পূর্বে ব্যবসা বন্ধ হবার কারণে জন্মভূমি গ্রামে ফিরে এসে বসে না থেকে শুরু করেন নার্সারী চাষ। যা পরবর্তীতে সফলতার মুখ দেখেন। কথা গুলো বলছি বেকারত্ব কাছে হার না মানা আব্দুর রহীম কে নিয়ে। আব্দুর রহীম এর গ্রামের বাসা গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামে।তিনি ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ জমিতে শুরু করেন নার্সারী।

ধীরে ধীরে যখন নার্সারী ব্যবসায় সফল হতে শুরু করেন তখন তার পাশে দ্বারায় তার ভাই সাইফুল ইসলাম।দু-ভাই মিলে বর্তমানে তাদের ২০ বিঘা জমি জুড়ে এই নার্সারী।তার নার্সারীর উন্নত জাতের ফল, ফুল ও ঔষধি   চারা রপ্তানি হচ্ছে  তুরস্কে, জাপান সহ বেশ কয়েকটি দেশে।এছাড়া আরও কয়েকটি দেশে চারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান নার্সারীর মালিক আব্দুর রহিম। তাদের নার্সারীতে শোভা পাচ্ছে বিদেশি জাতের আম,মাল্টা,লেবু,জাম্বুরা, আনারস, ফুল  সহ ১০০ প্রকার নানা জাতের চারা। সরেজমিনে গিয়ে নার্সারির মালিক আব্দুর রহিম এর সাথে কথা হলে তিনি  জানান।

তার এই নার্সারীর উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিক্রি করে মাসিক ৩ লক্ষ টাকা উপার্জন হচ্ছে।সেই সাথে তার নার্সারীতে প্রতিদিন ২০-২৫ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এমনকি এই নার্সারী দেবার ফলে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মতিউল আলম বলেন,সফল ঐ নার্সারীর মালিককে আমরা ক্রেস্ট প্রদান করেছি।এবং তার নার্সারীর উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিদেশে রপ্তানি করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় সে জন্য আমরা তাকে নানা রকম পরামর্শ প্রদান করে আসছি।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo