• বিশেষ প্রতিবেদন

কোরবানী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে বেড়েছে পশুর উৎপাদন

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৯ জুন, ২০২৩ ১৯:৫৪:৩১

ছবিঃ সিএনআই

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: মুসলিম উম্মার জন্যে ২য় বৃহত্তম ইদ উৎসব কোরবানী। আর এ কোরবানীেেক কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ৮ বছরে পশুর উৎপাদন বেড়েছে ১৬৩ শতাংশ। এর মধ্যে দ: চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় পটিয়া ও উত্তর চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার মধ্যে সন্ধীপ উপজেলা রয়েছে শীর্ষে। জেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে কোরবানীতে পশু জবাই হয় ৪ লাখ ৯২ হাজার ২শ ৫০ টি। আর পশুর উৎপাদন হয় ৩ লাখ ২০ হাজার।

চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হয় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫০ টি। এই দিকে ২০১৬ ও ১৭ সালে চাহিদা মতে উৎপাদন হয়নি। তবে ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬ শত ৩৪টি উৎপাদন হলে ও জবাই করা হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬২টি। অন্যদিকে ২০১৯ সালে উৎপাদন হয় ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯টি আর জবাই হয় ৭ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৯টি। ২০২০ সালে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি উৎপাদন হলে ও জবাই হয় ৭লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৬ টি। ২০২১ সালে উৎপাদন হয় ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪টি আর জবাই হয় ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৫টি। ২০২২ সালে জবাই হয় ৮ লাখ ১ হাজার ৩শ ৫০টি, আর উৎপাদন হয় ৮লাখ ১৯ হাজার ৪শ ৪২টি। ২০২৩ সালে উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১শ ৬৫ টি, তবে সম্ভাব্য চাহিদা ছিল ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭শ১৩টি। এতে ঘাটতি রয়েছে ৩৭ হাজার ৫শ ৪৮টি। সূত্র আরো জানায় পটিয়া উপটজেলায় এবার উৎপাদন হয়েছে ৭৪ হাজার ৫শ ১২ টি, আনোয়ার উপজেলায় ৬৬হাজার ২১৫টি, কর্নফুলী উপজেলায় ৫৭ হাজার ২১১টি।

অন্যদিকে শীর্ষে রয়েছে উত্তর চট্ট্রগ্রামের সন্দীপ উপজেলা, এবার উক্ত উপজেলায় উৎপাদিত হয়েছে ৭৮হাজার ৪শ ৬৬টি।। উত্তর চট্টগ্রামে উৎপাদনের দিক থেকে সন্ধীপের পরে রয়েছে মিরসরাই , এতে উৎপাদিত হলো ৬০ হাজার ৭শ ৩৯টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ৫৬ হাজার ২৩০টি। উৎপাদনে নিম্মে রয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রম শহরের কতোয়ালী, ডবলমুরিং ও পাঁচলাইশ থানায়। অন্যান্য উপজেলায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার পশু উৎপাদন হয়েছে।

জেলা প্রানী সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, এবার চট্টগ্রামে উৎপাদিত পশুর মধ্যে গরু ৫লাখ ২৬ হাজার ৩শ ২৫টি, মহিষ ৭১ হাজার ৩ শ ৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৫টি,গয়াল দুম্বা ও অন্যান্য ১শ ২টি। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক আশরাফুল আলম জানান, প্রত্যেক উপজেলায় পশুর উৎপাদন হয়ে থাকে, পটিয়া ও সন্দীপ অতীতে ও পশু উৎপাদনে তুলনামুলক এগিয়ে ছিল। তবে অনেক তরুন উদ্যোক্তা পশু উৎপাদনে ঝুকে পড়েছে যা কৃষিখাত কে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে।

দায়িত্বরত চট্টগ্রাম জেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডা: মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, উৎপাদিত পশু দিয়ে ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ চাহিদা পুরন করা যাবে, বাকি ৪ থেকে ৫ শতাংশ চট্টগ্রামের পার্শবর্তী জেলা, বগুড়া, কুষ্টিয়া ভোলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় উৎপাদিত পশু দিয়ে চাহিদা মেটানো যাবে।
 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo