• বিশেষ প্রতিবেদন

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও হয়নি সেতু, দুর্ভোগে ৩৫ গ্রামের মানুষ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৪:৫৪:৪০

ছবিঃ সিএনআই

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্তত ১৫ গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষ। স্বাধীনতার পর ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের বাড়ীগ্রাম বড় ঘাটপাড়ে সেতু হয়নি। একারনে এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোয়াও লাগেনি। ফলে এ অঞ্চলে হাজারও মানুষের অবর্ননীয় কষ্ট আর সীমাহীন দুর্ভোগে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয়ভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে যুগ যুগ ধরে এখানকার মানুষ ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। ডিজিটাল যুগে বাড়ীগ্রামের বড় ঘাটপাড়ে পাকা সেতু না হওয়ায় ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০-৩৫ হাজার মানুষের এখন একমাত্র ভরসা ওই বাঁশের সাঁকোটি।

সরেজমিনে গিয়ে একাধিক শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে পঞ্চাশ বছরে বহু আবেদন-নিবেদন করা হলেও এখানে সেতু নির্মাণের কোন উদ্দ্যোগ নেয়নি কেউ। বরং প্রতিবার নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও ভোটে উত্তীর্ণ হয়েই সব বেমালুম ভুলে যান। সূত্রে আরও জানা যায়, বাড়ীগ্রামের খালটিতে সারা বছরই কমবেশী পানি থাকে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ভোগের সীমা থাকে না এলাকাবাসীর। কখনও ছোট বড় নানা দূর্ঘটনা ঘটে।

এছাড়া জরুরি রোগী হাসপাতালে নেয়া তো স্বপ্নসাধ্য বিষয়। সাঁকো পারাপারে বিপাকে পড়ে বৃদ্ধ নারী-পুরুষ। স্কুলগামী শিশু-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় থাকে পরিবার। কৃষি নির্ভর এলাকা হলেও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সঠিক সময়ে বাজারে নিতে পারে না। ফলে তারা (কৃষক) ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।

বাড়ীগ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জহুরুদ্দিন (৭৫) বলেন, খালের উত্তরপাড় এলাকায় অবস্থিত জয়ভোগ, পারকোল, কুলকুষ্টিয়া, চামটা, শুনশী ও মির্জাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের অন্ততঃ ২০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের এমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। শত বছর ধরে বিচ্ছিন্ন থাকায় উপজেলা সদর, বিভিন্ন হাটবাজার ও জরুরী প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জনগনের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নিদারুন কষ্ট করে এই নড়বরে বাঁশের
সাঁকো দিয়েই পার হতে হচ্ছে। সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে সময় অসময়ে ধর্না দিয়েও এযাবৎ কোন সুফল মেলেনি। পাল্টায়নি বাড়িগ্রামেসহ আশ-পাশ এলাকার দৃশ্যপট।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই সেতুটি আসু নির্মানের জোর আবেদন জানাই । বাড়ীগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক মো. আলমাছ উদ্দিন বলেন বাড়ীগ্রামে দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অপরটি স্কুল এন্ড কলেজ। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন এই
বাশের সাকো দিয়ে প্রায় কচিকাচা ৫-৬ শত ছেলে মেয়ে পারাপার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনেক সময় সাকো থেকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আমরা এই দুর্ভোগের অবসান চাই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাড়ীগ্রাম বড় ঘাট খালের উত্তর পাড় এলাকার প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে। সেতুিট হওয়া খুবই দরকার। উপজেলা প্রকৌশলী এল.জি.ই.ডি মো. মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সামাদ দুলাল বলেন, বর্তমান সরকারের গ্রাম হবে শহর, ্#৩৯;এই শ্লোগান বাস্তবায়নে কাজ করছি। বাড়ীগ্রাম খালের বড় ঘাট জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন এর উপর সেতু নির্মাণ করা হলে নাগরপুর উপজেলার সাথে যেগাযোগ সম্পর্ক উন্নীত হবে। আশা করি খুব শীঘ্রই বাড়ীগ্রাম খালের উপর সেতু নির্মাণ ও ওই এলাকার মানুষের দুর্দশার লাঘব হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo