• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

শিবালয়ে রাস্তা নির্মাণে ধীরগতি, পথচারীদের দুর্ভোগ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ০৫ জুলাই, ২০২১ ১১:১৩:৫৮

ছবিঃ সিএনআই

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিবালয়ে ধীরগতিতে চলছে রাস্তার নির্মাণ কাজ। ফলে পথচারীদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার তাগাদা দেওয়ার পরও কোন কাজে আসছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। প্রায় দুই মাসের বেশী সময় ধরে চলছে এ দুর্ভোগ।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালী ডাক্তার খানা হতে জমদুয়ারাগামী যাতায়াতের রাস্তাটি নতুন করে কার্পেটিংয়ের জন্য নির্মাণ কাজ চলছে। ধীরগতিতে চলছে এ নির্মাণ কাজ। রাস্তাটির মাঝে মাটি খুড়ে নতুন মাটি ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তার দুই পাশের শেষের দিকে মাঝে মাটি রাখায় মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভ্যান, রিক্সা, মটর সাইকেল চলাচলতো দুরের কথা পায়ে হাটাই কষ্টকর। সড়ক নির্মাণ বা মেরামত কাজের প্রজ্ঞাপনে সড়কের এক অংশ খোলা রেখে কাজ করার কথা রয়েছে। কিন্তু এ রাস্তা নির্মাণে তা করা হচ্ছে না বলেই এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে মানুষের চলাচলের বেশী অসুবিধা হচ্ছে। এতে স্থানীয় এলাকার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন বোয়ালাী ডাক্তারখানা হতে কৃষ্ণপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ৫কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের জন্য ৪৫ লাখ ৯৭হাজার ৭শ’ ৩৭ টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ পান মানিকগঞ্জের জাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ১৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখ ওয়ার্ক- ওয়ার্ডার দেওয়া হয়েছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। শুরু থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ধীরগতিতে কাজ করছেন। ফলে ব্যস্ততম এ রাস্তা দিয়ে মানুষের যাতায়াত ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।
শিবালয় উপজেলার অক্সফোড একাডেমী হয়ে কৃষ্ণপুর, জমদুয়ারা, রাধাকান্তপুর ও টুবাখালী হয়ে কলাবাগান বাসাইল সড়কের সাথে সংযুক্ত
হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে থাকে।

তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্থানীয় মানুষের প্রচেষ্টায় গত বছর এ রাস্তার কিছু অংশ ইটের সলিং দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বেহাল রাস্তাটির কিছু অংশ কার্পেটিংয়ের জন্য টেন্ডার হয়। কিন্তুু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতিতে রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তার পুরানো ইট উঠিয়ে ভেঙ্গে খুয়া বানিয়ে রাস্তার পাশে স্তুপ করে রেখেছে কার্পেটিংয়ের জন্য। স্থানীয় ভুক্তভোগী সুর্য মিয়া জানান, রাস্তার মাঝে মাটি স্তুুপ করে রাখায়
ভ্যান, রিক্সা, মটরসাইকেল যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে বাসা বাড়ি এবং দোকানপাটে মালামাল নেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

কৃষ্ণপুর গ্রামের ডি,এম নাছিম উদ্দিন বলেন, এ রাস্তাটি অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে এ রাস্তা দিয়ে। রাস্তার মাঝে মাটি ফেলে রাখায় পথচারীদের পায়ে হাটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মাটিগুলো সমান করে দিলে মানুষের চলাচলে কোন অসুবিধা হতো না বলে তিনি জানান।
শিবালয় উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, রাস্তাটি

সরু এবং বাইপাস রাস্তা না থাকায় এ সমস্য হচ্ছে। তবে দ্রুত কাজটি করার জন্য আমি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে বলে দিয়েছি। এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাহিদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টির জন্য কাজ করতে পারছি না। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে ধসে যাচ্ছে। এতে আমারও তো ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাত থামলে দ্রুত কাজটি শেষ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo