• শিশু সংবাদ

দুই চিকিৎসকের ভুলে লাইফ সাপোর্টে শিশু হৃদয়!

  • শিশু সংবাদ
  • ০৩ জুন, ২০২১ ১৬:৪১:৩৩

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় সেন্ট্রাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম ও আবু ছালেকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিশু মোনতাছির রহমান হৃদয় (৬)। সে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে মো রফিকের ছেলে। এ ঘটনায় হৃদয়ের মামা মো খোরশেদ আলম বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মে দুপুরে মোনতাছির রহমান হৃদয় লিচু গাছ থেকে পড়ে যায়। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়। পরে, তার মা হাছিনা বেগম দ্রুত পটিয়া সেন্ট্রাল হসপিটালের জরুরি বিভাগে ছেলেকে নিয়ে যান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু ছালেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডান হাতের এক্সরে করার জন্য পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে হৃদয়ের ডান হাতে এক্সরে করেন হাছিনা। এ অপারেশনের জন্য ডাক্তার সাইফুল ইসলাম ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। হৃদয়ের ডান হাতের ব্যাথায় কান্নাকাটি হাছিনা সহ্য করতে পারছিলেন না। ফলে তিনি চিকিৎসকের দাবি করা অর্থ তাকে দিয়ে দেন।

গত ২৫ মে বিকেল ৪টায় ডাক্তার সাইফুল ইসলাম হৃদয়কে অপারেশন রুমে নিয়ে যান। শিশুটির মা অপারেশন রুমে যেতে চাইলে ডাক্তাররা তাকে নিষেধ করেন। ডাক্তার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে সহকারী ডাক্তার আবু ছালেক অজ্ঞান করার জন্য হৃদয়কে ইনজেকশন পুশ করা মাত্র সে অজ্ঞান হয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর অপারেশন রুম থেকে বের হয়ে ডা. সাইফুল ইসলাম হৃদয়ের অবস্থা গুরুতর বলে তার মাকে জানান।

পরে হৃদয়কে চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করাতে এম্বুলেন্স ডেকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করান ডাক্তাররা। সেখানে যাওয়ার পর থেকে নিজেদের মুঠোফোন বন্ধ করে দেন সাইফুল ইসলাম ও সহকারী চিকিৎসক আবু ছালেক।

মোনতাছির রহমানের মামা খোরশেদ আলম বলেন, ‘৬ বছরের শিশুকে ১৬ বছরের রোগীর ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। ডাক্তারদের এ ভুল চিকিৎসায় আমার ভাগনে হৃদয় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে মৃতুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।’

মা ও শিশু হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে শিশুটির মামা আলোচনার সাপেক্ষে হৃদয়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাগিনাকে যারা ভুল চিকিৎসা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমার ভাগনের ভুল চিকিৎসকদের বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’ 

এ ব্যাপারে কথা হলে ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, হৃদয় বর্তমানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo