• অর্থনীতি

রাঙামাটিতে তরমুজ আবাদে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে বহু চাষির

  • অর্থনীতি
  • ০১ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:২৩:৩৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ টসটসে, মিষ্টি ও রসালো তরমুজে সয়লাব রাঙামাটির হাট-বাজার। প্রতি বছরের মতো এবারও এখানে চাষ হয়েছে মৌসুমি ফল তরমুজ। কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মৌসুমে রাঙামাটির প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় তরমুজের প্রচুর উৎপাদন হয়েছে। ফলেছে বাম্পার ফলন। তরমুজ আবাদে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে বহু চাষির।

রাঙামাটির উৎপাদিত তরমুজ এখন স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বাজারজাত হচ্ছে জেলার বাইরেও। পাহাড়ে তরমুজের অভাবনীয় উৎপাদনে চাষিরাও বেশ লাভবান। জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এ মৌসুমেও তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় ও মাঝারি আকারের প্রতি পিছ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ১৮০-২২০ টাকায়।

শহরের মগবান ইউনিয়নের তারিঙ্গা পাড়ায় বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন টিলা ছেয়ে আছে তরমুজের আবাদি ফসলে। বর্তমানে এই ফসলের ফল মোটাতাজা করতে সার, কীটনাশক ও যাবতীয় কৃষি উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় এবার তরমুজের ভালো উৎপাদন হয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে বেশি।

তরমুজ চাষি আব্দুর রহিম বলেন, তরমুজের ক্ষেত করতে দুই-তিন লাখ টাকা খরচ করলে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা পাওয়া যায়। আমরা এই জমিতে বছরের চার-পাঁচমাস চাষ করতে পারি। কারণ এই জমি পানিতে ডুবে থাকে। পানি থেকে ভেসে উঠলে আমরা তরমুজের বীজ রোপন করি, এবার আমাদের চাষের ফলনও ভালো হয়েছে, তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক জানান, আমাদের পরিসংখ্যান মতে রাঙামাটি জেলায় এ বছর ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। খুব সাম্প্রতিক সময়ে এর ফলন পাবে কৃষক ভাইয়েরা। এর মধ্যে আমাদের বেশিরভাগ তরমুজ হয় লংগদু উপজেলায়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সদর উপজেলায়ও তরমুজের আবাদের প্রবণতা খুবই বাড়ছে। এ বছরের তথ্য মতে শুধুমাত্র রাঙামাটি জেলা সদরের ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এ ধরনের আবাদ হতে থাকলে আমরা আশা করছি আমাদের কৃষকরা উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, কৃষক ভাইদের প্রশিক্ষণ এবং মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন সহায়তাসহ সকল প্রকারের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের কর্মীরা। প্রত্যন্ত দুর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল ও জুরাছড়ি থেকে এসব তরমুজ জেলা শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।

উল্লেখ্য, বছরের এই সময়টাতে হ্রদের পানি কমতে থাকায় দ্বীপগুলো পানির উপরে উঠে আসে। আর সেই সময়টাই তরমুজ চাষ করার উপযোগী সময়। এ বছর ফসলের উৎপাদিত ফলন ভালো হওয়ায় বিক্রি করে দামও অনেকটা ভালো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তরমুজ চাষিরা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo