ছবিঃ সিএনআই
পাবনা প্রতিনিধি : খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।
সারা বিশ্বের মতো পাবনার চাটমোহরেও ধর্মীয় এই উৎসব উদযাপনে নানা আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সবচেয়ে বড় ধর্মপল্লী মথুরাপুরে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত প্রার্থনা করা হয়। প্রার্থনা পরিচালনা করেন পাল পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও, ফাদার পিউস গমেজ এবং ফাদার জেভার্স গাব্রিয়েল মুর্মূ।
প্রার্থনা শেষে ধর্মপল্লী চত্বরে কেক কাটা, আলোচনা এবং দলীয় কীর্তন পরিবেশন করা হয়।
আলোচনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী, সাবেক এমপি আলহাজ্ব কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) মো. আবু বক্কার সিদ্দিক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিস্টার ইগ্নাসিউস গমেজ, আমার দেশ প্রতিনিধি রকিবুর রহমান টুকুন প্রমুখ।
যীশু খ্রীস্টের জন্মতিথি ‘বড়দিন’ উদযাপনে খ্রীস্টান পল্লী গুলোতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। উপাসনালয়সহ বাড়ি আলোকসজ্জা, গোশালা তৈরী, ক্রিস্টমার্স ট্রি সাজানো হয়।
যিশু খ্রীষ্টের জন্মতিথি ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপনে চাটমোহর উপজেলার পৌরসদর, মথুরাপুর, হরিপুর, ফৈলজানা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ১১টি ক্যাথলিক এবং ব্যাপ্টিস্ট গির্জায় এখন উৎসবের আমেজ।
সবকিছু সেজেছে নতুন সাজে। স্বজনদের সাথে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাড়িতে এসেছেন কর্মজীবি মানুষ। আত্মীয়-স্বজনসহ জামাই-মেয়ে।
মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের দীপ্তি রোজারি জানান, বড়দিন উপলক্ষ্যে আমাদের প্রত্যেকের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। সেকারণে আমরা সাধ্যমতো প্রত্যেক বাড়িতে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা করেছি। আল্পনা আঁকা হয়েছে বাড়ির আঙিনা, দেয়াল সহ বিভিন্ন স্থানে।
মি. বাদল গমেজ বলেন, বড়দিন ঘিরে সপ্তাহব্যাপী অনেক রকমের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে থাকবে নগর কীর্তন, বড়দিনের উপাসনা, কেক কাটা, পিঠা পর্ব, প্রীতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও বলেন, আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং অন্তরের অন্ধকার দুর করে আলোর পথ দেখানোর বানী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু খ্রিষ্ট। মানুষে মানুষে মিলন, শান্তি যেন স্থাপিত হয় গোটা বিশ্বে। ভালবাসার মধ্য দিয়ে যাতে সেই শান্তি স্থাপন করতে পারি সে প্রত্যয়ে এ বছর বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ন পরিবেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে বড়দিন উদযাপন করতে পারে সেজন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকল চার্চে, গীর্জায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকি পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারতে যাওয়ার সময় যশোরের বেনাপোল আন্তর্জ...
বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু ক...
বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত...
নিউজ ডেস্কঃ নোয়াখালী থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লায় সড়...
নওগাঁ প্রতিনিধি: “মানুষের সাথে, জীবনের পাশে” প্র...

মন্তব্য (০)