• সমগ্র বাংলা

নওগাঁয় তালাক ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় পুলিশ কনস্টেবল পাপেল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, যৌতুক দাবি এবং স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে তৃতীয় স্ত্রী হাফিজা আক্তার আঁখি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মঙ্গলবার বদলগাছীর বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে হাফিজা আক্তার। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর পারিবারিকভাবে পাপেল হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পরিবারের কাছ থেকে বাড়ি মেরামতের কথা বলে ৭ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়া হয়। বিয়ের পর পাপেল কর্মস্থল বগুড়ায় থাকাকালীন তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে ভাড়া বাসা ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, ৭ মাস পর পাপেলের নতুন কর্মস্থল বগুড়ার সারিয়াকান্দির চন্দন বাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ওঠার পর সংসার শুরু হলেও সেখানে কোনো খরচ দিতেননা পাপেল। এরপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বিষয়টি জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

হাফিজা আক্তারের দাবি, পরে পাপেল আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন। এরপর তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। কিছুদিন পর হাফিজা জানতে পারেন, পাপেল এর আগেও দুটি বিয়ে করেছেন এবং যৌতুকের জন্য তাদেরও তালাক দিয়েছে। একই কৌশলে তাকে গোপনে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন।

তিনি জানান, এসব ঘটনায় তিনি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার, পাবনা পুলিশ সুপার, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো পক্ষই এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তাকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করতে।

পাপেলের প্রথম স্ত্রী সোনালী আক্তার বলেন, পাপেলের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল না। পুলিশে চাকরির জন্য তার বাবার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেওয়ার পর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই পাপেল তালাক দিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, পাপেল একজন অর্থলোভী মানুষ।

এ ব্যাপারে পাপেল হাসান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমি সরকারি চাকরি করি কেন তাকে ভরণ-পোষণ দিবো না। এ বিষয়ে হাফিজা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি। সেসব বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলতে চাইনা।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী হাফিজা আক্তার আঁখির বাবা রকিব উদ্দিন, চাচা রফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

মন্তব্য (০)





image

আলফাডাঙ্গা ইউএনও'র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মাঝে শ...

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন...

image

জামালপুরে জাঙ্ক ফুড বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সুষম খাদ্য গ্রহণ...

image

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে...

ফরিদপুর প্রতিনিধি : গত বছরের ৫ আগস্টে গনঅভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্...

image

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল উ...

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহ...

image

আল্লাহ'র পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে- বগুড়ায় রুহুল কব...

বগুড়া প্রতিনিধি : বিরোধী দলের ওপর দীর্ঘ বছর ধরে জুলুম, ...

  • company_logo