
অংকন তালুকদার, গোপালগঞ্জ : শিক্ষা গ্রহণ করা মানেই কি চাকরি খোঁজা? শিক্ষিত হওয়া মানেই কি সরকারি, কর্পোরেশনের কিংবা অন্যের অফিসে চাকরি করা? ‘উচ্চশিক্ষিত হয়ে চাকরি খোঁজা মানে নিজ পরিবারের ভরণপোষণের চিন্তা করা, এটি এক ধরনের স্বার্থপরতা।’ কথাটি কিন্তু একেবারে অযৌক্তিক নয়। হ্যাঁ এটি সত্য যে, শিক্ষিত হওয়া কিংবা উচ্চশিক্ষিত হওয়া মানে বিশেষ কিছু দক্ষতা অর্জন করা (মানবিক তো বটেই) যা দ্বারা তারা দেশি, বিদেশি কোনো সংস্থায় সার্ভিস দিয়ে অর্থ উপার্জন করবে।লেখাপড়া করে চাকরি পাবে, ভালো রোজগার করে উন্নত জীবনযাপন করবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশে শিক্ষিত মানুষই বেশি বেকার। তারা নিজেদের পছন্দমতো কাজ পান না। অন্যদিকে যারা কখনো স্কুলে যায়নি, শিক্ষার সুযোগ পায়নি তাদের মধ্যেই বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম। এর পরিণতি কী হবে, সে ব্যাপারে ধারণা করাটাও দুঃসাহসিক।
দেশে বিসিএসে মাত্র কয়েক হাজার পোস্ট অথচ প্রতিবছর হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স পাস করা শিক্ষার্থী বের হন, সবাই যদি চাকরি খোঁজেন তাহলে জায়গা কোথায়? দেশে যত লোক বেকার, তাদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে দুজন উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। পড়াশোনা করে একটু ভালো কাজের সন্ধানে থাকেন তারা। কিন্তু মনমতো চাকরি পাচ্ছেন না। বেকারদের মধ্যে শিক্ষিতদের বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি। শিক্ষার লেভেল বিবেচনায় উচ্চশিক্ষিতদের মাঝে বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী। দেশে অল্পশিক্ষিত বেকারের তুলনায় স্নাতক বেকারের সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য দেশের শ্রমবাজার তুলনামূলক সংকুচিত। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের রয়েছে পর্যাপ্ত অভাব। যেন ‘অভাগা যে দিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়’ অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মূলত চাকরিতে শূন্য পদের বিপরীতে চাকরিপ্রাথীর্র সংখ্যা অনেক বেশি। তাই শিক্ষিতদের বেশ বড় একটি অংশ প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। পরীক্ষা দিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয় কারণ যে পরিমাণ চাকরি প্রত্যাশী তার তুলনায় চাকরির সুযোগ নেই। বলা যায়, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে একটা বড় অংশই এখন বেকার। পড়াশোনা শেষ করে বছরের পর বছর চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। একই সঙ্গে শূন্যপদগুলোও নিয়মিতভাবে পূরণ হয় না। আর বেসরকারি খাতে বতর্মানে বিশেষজ্ঞ, কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিতদের চাহিদা বেশি। যে কারণে প্রচলিত ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের বেসরকারি খাতে চাকরি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। একদিকে চাকরি না পাওয়ায় এসব শিক্ষিত জনবলকে দেশের অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে বেকারদের একটি অংশ জড়িয়ে পড়ছে নানা সামাজিক অপরাধে। আর চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কা ও হতাশা থেকে উচ্চ শিক্ষিত মেধাবীদের একটি অংশ চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। ফলে তাদের মেধা ও সেবা দেশের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অপ্রিয় হলেও সত্য! চাকরির বাজারের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এখানেও অন্যদের তুলনায় উচ্চশিক্ষিতরা তুলনামূলক বেশি বেতন পান। আবার তাদের মধ্যে বেকারও বেশি। চাকরির বাজারের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার ভালো সমন্বয় হচ্ছে না। শিক্ষিতদের বড় একটা অংশ যদি উন্নয়ন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকে, তাহলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারেও যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করার দাবী বিজ্ঞ মহলের।
এদিকে, বছরে বছরে বেকারত্বে হার দ্বিগুণ বেড়ে যায়, এটা উচ্চশিক্ষিতদের জন্য বড় দুঃখজনক। এখন প্রশ্ন হলো কেন এই বেকারত্ব? তাদের যোগ্যতা তো কম না। এর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিক তারা স্টাডি করতে পিছিয়ে নেই। লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়ায় চড়ে সে’ কথাটা ছোট সময় মায়ের কাছ থেকে অনেক শুনেছি। কথাটা সত্যও ছিল, তবে এখন দেখছি যে, পড়ালেখা করে যে পেরেশানিতে ভোগে সে। বলাই যায়, দেশে বেকারত্ব যে হারে বাড়ছে তার বড় অংশ শিক্ষিত বেকার। এর অন্যতম কারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের চাহিদাকে বিবেচনায় না নেয়া। শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রমবাজারমুখী না হওয়ায় প্রতিবছর দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।মূলত দেশের এই শিক্ষা ব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের চাহিদার মাঝে রয়েছে লক্ষণীয় ভারসাম্যহীনতা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা তৈরিতে সক্ষম হতো তাহলে এই ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতো না।
দেখা যায় যে, শ্রমবাজারে যেসকল বিষয়ের চাহিদা বেশি আছে তুলনামূলক তাদের যোগান কম। আর যেসকল বিষয়ের চাহিদা তুলনামূলক কম সেসকল বিষয়ের যোগান বেশি। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু দেশের শ্রমবাজারে এসব বিষয়ে শিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থানের বিশেষ ঘাটতি রয়েছে। আবার বাণিজ্য ও বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোতে চাহিদা বেশি থাকলেও যোগানের পরিমাণ কম। এছাড়া এমন অনেক বিষয়ে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে যেগুলোর শ্রমবাজারে কোন বিশেষ চাহিদা নেই বা এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। অথচ প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এরকম নতুন নতুন বিষয় চালু করার ঘটনা ঘটছে। একারণে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ভারসাম্যহীনতার দুষ্ট চক্রে পড়ছে। এই বেকারত্বের কারণ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নয় বরং শ্রমশক্তির কর্ম দক্ষতার অভাব। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণের সাথে সমানতালে কর্মদক্ষ হয়ে ওঠছে না। আর একারণেই মূলত এই বিশাল জনশক্তি জনসম্পদে পরিণত হতে পারছেনা। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো শ্রমবাজারের চাহিদা মোতাবেক জনশক্তি তৈরি করতে না পারায় দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সিলেবাস প্রনয়ণ করছেনা। প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে লাখ লাখ শিক্ষার্থী শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও যথেষ্ট দক্ষতার অভাবে বেকার থাকছে। এই চিত্র যে শুধু সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তা নয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও তাই। চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কিংবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও শিক্ষার্থীরা দক্ষতার অভাবে চাকুরী পাচ্ছে না। অথচ দেশের বেশির ভাগ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ শ্রমিকের সংকটে ভুগছে। অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভাল অংকের বেতন দিয়ে কর্মী নিতে আগ্রহী হলেও চাহিদামত দক্ষ লোকবল পাচ্ছে না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোতে পড়াশুনা করার পরেও প্রযুক্তিগত ও ভাষাগত দক্ষতার অভাবে অনেকেই বেকার থেকে যাচ্ছে। দক্ষতার ঘাটতি দেশকে শ্রমশক্তিতে পিছিয়ে দিচ্ছে।
আবার যারা দেশের বাইরে কাজের সুবাদে যাচ্ছে তারাও শুধু দক্ষতার অভাবে তুলনামুলক বেশি বেতনের চাকরির সুযোগ হারাচ্ছে। শুধু ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে বিদেশের মাটিতে প্রতিবছর লাখ লাখ শ্রমিক ভাল কাজের সুযোগ হারাচ্ছে। দেশের বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী বেকার থাকা সত্ত্বেও শুধু দক্ষতার অভাবে লাখ লাখ বিদেশী বাংলাদেশ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনশক্তি দক্ষতার চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশের বাইরে থেকে শ্রমশক্তি আমদানী করতে বাধ্য হচ্ছে। দ্রুত এই বিষয়ে পর্যালোচনার দরকার রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞগণ মতামত দিচ্ছেন।
দেশের চাকরির প্রস্তুতি পর্ব ও পড়াশুনার ধরণ একাডেমিক পড়াশুনা থেকে অনেকাংশেই আলাদা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে শ্রমবাজারের এরূপ ভারসাম্যহীনতার কারণে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক পড়াশুনার তুলনায় চাকুরীর পড়াশুনায় বেশি মনোযোগী। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পাঠাগারে গেলে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশুনার পরিবর্তে চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাঠাগারের সামনে বিশাল লাইন দেখে মনে হতে পারে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনায় এত মনোযোগী? কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে, তাঁরা প্রত্যেকে হাতে চাকুরীর প্রস্তুতির বই নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর কারণ যেহেতু শিক্ষার্থীরা মনে করছে যে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে কর্মক্ষেত্রের সামঞ্জস্য নেই তাই স্নাতক পর্ব শেষ না হতেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চাকুরীর পড়াশুনার প্রতি ঝুঁকছে। তাই দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষত সিলেবাসকে শ্রমবাজারের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কম চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ের তুলনায় শ্রমবাজারে বেশি চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সদ্বিচ্ছার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি আরো সচেতন হতে হবে। বিশ্বের চাহিদা বিবেচনায় প্রতিটা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা এবং প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের তাত্ত্বিক শিক্ষাকে বাস্তবতার সাথে একীভূত করে প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি বেসরকারী চাকুরীকেও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ও মান আরো দুটোই উন্নত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিদেশী ভাষা শিক্ষা দেয়া যেতে পারে। বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানীর ক্ষেত্রেও তাদের দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দেশের বেকারত্ব হ্রাস করতে শিক্ষার হার বৃদ্ধির তুলনায় দক্ষতা সৃষ্টির প্রতি জোরারোপ করতে হবে। এখন কথা হলো বেকার সমস্যা দূর করতে হলে বেকার যেসব কারণে হচ্ছে সেসব কারণ তো দূর করতে হবে। সমস্যা যে জাগায় সমাধান সে স্থান থেকেই শুরু করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে করতে হবে যুগোপযোগী, মানসম্পন্ন এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষার উপকরণ নিশ্চিত করতে হবে। এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। উপরোক্ত বিষয়ে কেউ যদি মনোকষ্ট পান তাহলে শুরুতেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ যে কোন লেখা যদি পাঠক সামগ্রিক দিক বিবেচনায় না নিয়ে ব্যাক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা করে বা নিজের গায়ে নিয়ে নেয় তবে সেটা কারোর জন্য সুখকর নয় না লেখকের না পাঠকের। তাই নিরপক্ষ ও চিন্তার খোরাক জেনে লেখাটি পাঠ করার অনুরোধ রইলো। তাতে উভয়েরই মঙ্গল ও কল্যানকর।
আমরা মনে করি, নাগরিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব; কিন্তু আমরা এই সেটি ভুলতে বসেছি। রাষ্ট্র সবাইকে চাকরি দেবে ব্যাপারটা এমন নয়, তবে সবাই যাতে কাজ পান সেটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা সুশাসনের অভাব। সুশাসন না থাকায় কাঙ্ক্ষিত হারে বিনিয়োগ বাড়ছে না। তাই সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকার যদি বিনিয়োগ বাড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে বেকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। এটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। কারণ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়ছে না। আমাদের মানসিকতাও পাল্টানো জরুরি। শুধু চাকরি করা নয়, নিজেদেরই উদ্যোগী হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। উদ্যোক্তা হওয়া বেশ কঠিন। তরুণদের সে সুযোগ নেয়া উচিত। বড় শিল্পে সব মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে না। গ্রামগঞ্জে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। উন্নত দেশও এখন উদ্যোগের ওপর জোর দিচ্ছে। আমাদেরও সেই পথে এগোনো দরকার।
মন্তব্য (০)