• আন্তর্জাতিক

‎কতটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে ভারত-চীন সম্পর্কের সমীকরণ

  • আন্তর্জাতিক

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ভারত–চীন সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন ও অবিশ্বাসে ঘেরা। বিশেষত ২০২০ সালের গলওয়ান সংঘর্ষে ভারতীয় ২০ সেনার মৃত্যু, সীমান্ত বরাবর লালফৌজের আগ্রাসী অবস্থান এবং ভূখণ্ডগত দাবি নিয়ে চীনের একগুঁয়েমি নয়াদিল্লিকে গভীরভাবে আহত করেছিল। কিন্তু ভূ-রাজনীতির পালা দ্রুত বদলাচ্ছে। চলতি বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর পর এশিয়ায় নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। তার সুযোগ নিয়েই আবারও ঘনিষ্ঠতার পথে হাঁটছে দিল্লি ও বেইজিং।

‎সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই ভারত সফরে এসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরেই ঘোষণা আসে, চীন ভারতকে আবার বিরল খনিজ, রাসায়নিক সার এবং টানেল বোরিং মেশিন রফতানি শুরু করবে। গলওয়ানের পর এগুলো কার্যত আটকে গিয়েছিল। ভারতের শিল্প, প্রতিরক্ষা ও কৃষিক্ষেত্রে বিরল খনিজ অপরিহার্য; রাসায়নিক সার কৃষকদের জন্য অত্যাবশ্যক। ফলে ট্রাম্পের ‘শুল্কবাণ’-এর সময়ে এগুলো সরবরাহ নতুন করে চালু হওয়া ভারতের জন্য বড় স্বস্তি।

‎বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শুধু বাণিজ্য নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তাও বহন করছে। চীন চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমাতে ভারতের সঙ্গে আস্থা ফিরিয়ে আনতে।

‎অন্যদিকে, ভারতের নীতি আয়োগও সম্প্রতি জানিয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগে টানা পতন ঠেকাতে চীনা লগ্নি আংশিকভাবে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। অতএব, নয়াদিল্লি কিছুটা বাস্তবমুখী অবস্থান নিচ্ছে।

‎তবে সংশয়ও কম নয়। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, সীমান্তে এখনো শান্তি নেই, আর পাকিস্তানের প্রতি চীনের সমর্থনও স্পষ্ট। ফলে শুধু ট্রাম্পকে সামলাতে গিয়ে চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

‎আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক হার্শ প্যান্ট (কিংস কলেজ লন্ডন) মন্তব্য করেছেন— নতুন দিল্লি ও বেইজিংকে পুনরায় আলোচনায় বসতে বাধ্য করেছে বৈশ্বিক চাপ। তবে এটিকে কেবল অস্থায়ী ‘শীতল শান্তি’ বলা যায়।

‎ব্রিটিশ দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, চীনের সঙ্গে ভারতের এই ঘনিষ্ঠতা মার্কিন-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনেরই প্রতিফলন।

‎এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার পর গুজরাটের নায়রা এনার্জি চার বছর পর প্রথমবার চীনে ডিজেল রফতানি করেছে। রুশ মালিকানাধীন এই কোম্পানির পদক্ষেপও ভারত–চীন অর্থনৈতিক সেতুবন্ধনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

‎সব মিলিয়ে, ভারত এখন বাস্তব রাজনীতির পথেই হাঁটছে। একদিকে সীমান্ত নিয়ে সতর্কতা, অন্যদিকে অর্থনীতিতে চীনের হাতে ধরা—দু’য়ের মাঝামাঝি ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছে মোদি সরকার। তবে এই সমীকরণ কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।

মন্তব্য (০)





image

পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক শর্তসাপেক্ষে সম্ভব, জানাল রাশিয়া

নিউজ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ...

image

দুর্ভিক্ষের পর তৃষ্ণা: গাজায় এবার পানিকে ‘অস্ত্র’ বানাল ই...

নিউজ ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের দুর্ভিক্ষের কিনারায় ঠেলে দেওয়ার পর এবার গাজার...

image

অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধে ভারতের সংসদে ঐতিহাসিক বিল পাস

নিউজ ডেস্ক : ভারতের সংসদ অনলাইন জুয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে একটি গুরু...

image

জাপানে স্মার্টফোন ব্যবহারে দৈনিক সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার প্রস...

নিউজ ডেস্ক : অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝ...

image

সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন শাহবাজ, ট্রাম্পের স...

নিউজ ডেস্ক : আগামী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্র...

  • company_logo