
ফাইল ছবি
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় মোঃ হাসানুর হক (৪৫) নামের এক কুষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীকে হাসাপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ভিতরেই রোগীর স্বজনদের মারধর করে রুমের ভিতরে আটকে রাখে। মামলা করলে হত্যা সহ নানা হুমকি দেওয়া হয়৷ এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশে খবর দিলে হাতেনাতে দু'জনকে আটক করা হয়।
বুধবার (২০ আগষ্ট) বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের চক চবিবাড়ির ত্রিমোহনী এলাকায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
ভুক্তভোগী হাসানুর হক একদন্ত ইউনিয়নের চক চবিবাড়ি এলাকার আব্দুল বারেক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কৃষকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আটককৃতরা হলেন, একদন্তের চক চবিবাড়ির ত্রিমোহনী এলাকার হাশেম মুন্সির ছেলে খায়রুল ইসলাম ও মৃত রোস্তম মুন্সীর ছেলে হাশেম মুন্সী। এছাড়াও হাশেম মুন্সীর স্ত্রী খাদেজা খাতুন জড়িত বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা একদন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা বলে জানা গেছে। তবে বর্তমানে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আটঘরিয়ার ত্রিমোহনীর চৌরাস্তা মোড় পৌছামাত্র ৪/৫ জন আসামি হাতে ধারালো চাপাতি, হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী হাছানুর হকের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। নিষেধ করলে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর স্বজন ও স্বজনদের উপর হামলা করা হয়। রুমে আটকিয়েও রাখা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগীর স্ত্রী মোছাঃ ববি খাতুন বলেন, এরা আওয়ামী লীগ করত। এখনো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। এরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজী ও মাস্তানি গুন্ডামী করে বেড়াচ্ছে। আমার স্বামীকে ব্যাপকভাবে কুপিয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মধ্যেও আমাদের উপর হামলা করা হয়। এসময় তারা বলে যে মামলা করলে এলাকায় যেতে দেবনা। কেউ আমাদের কিছুই করতে পারবে না। বর্তমানে তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে মিলেমিশে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন আমাদের হাতে রয়েছে। আসলে আমরা এখনো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। এদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে। অন্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সদর থানা পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। আমরা তাদের কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। অন্য আসামীদেরও আটক করা হবে।
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্ম...
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে আন্তঃজেলা চোর চক্রে...
জামালপুর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৯ বছর পর জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম...
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের...
মন্তব্য (০)