
প্রতীকী ছবি
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীকান্তপুর গ্রামে বিষধর সাপের কামড়ে শাওন শিকদার (১৯) নামের এক তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। অমূল্য সময় হারিয়ে গেছে ঝাড়ফুঁক আর ওঝার বাড়ি ঘুরে।
রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন শাওন, আমুড়িয়া কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। হঠাৎই এক বিষধর সাপের ছোবল। আতঙ্কিত পরিবার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে ছোটে এক ওঝার বাড়িতে। শুরু হয় ঝাড়ফুঁক। সময় গড়িয়ে যায়, শাওনের শ্বাসে টান পড়ে। এরপর নেওয়া হয় আরেক ওঝার নিকটে। চিকিৎসা নয়, চলে মন্ত্র তন্ত্র।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাওনকে যখন মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়, তখন দেহে প্রাণ নেই।
হাসপাতালের আরএমও ডা. মামুনুর রশীদ জানান, “তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। যদি সঠিক সময়ে হাসপাতালে আনা হতো, অ্যান্টিভেনম ছিল, হয়তো বাঁচানো যেত।”
শাওনের মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। তরুণটি শুধু পরিবারের নয়, পুরো সমাজের হারানো সম্ভাবনা।
এই একুশ শতকে এসেও অনেক মানুষ বিশ্বাস করে ঝাড়ফুঁকে সাপের বিষ কাটে। চিকিৎসকের ভাষায়, “সাপে কামড়ালে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে, অ্যান্টিভেনম ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।” অথচ এখনো অনেক পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় ভুয়া ওঝার কথামতো।
মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার সকালে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শাওনের মৃত্যু কেবল একটি পরিবারের শোক নয়—এটি আমাদের সমাজের জন্য একটি কঠিন শিক্ষা। সময় এসেছে মানুষকে বোঝানোর, “ঝাড়ফুঁকে নয়, জীবন বাঁচে আধুনিক চিকিৎসায়।” শাওনের মতো আর কোনো তরুণ যেন এমন করুণ পরিণতির শিকার না হয়—এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপি বৃক...
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মহাসড়কের পাশে অবৈ...
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ যমুনা গ্রুপে...
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরে গঙ্গাজল অর্পণ উৎসব পালিত হয়েছে।...
মন্তব্য (০)