• লিড নিউজ
  • জাতীয়

ফেনীতে এক রাতেই তলিয়ে গেল ২০ গ্রাম

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজীর কমপক্ষে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উজানের এসব গ্রামগুলোর পানি কমতে শুরু করলেও বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাতে নতুন করে ভাটির ফুলগাজীর মুন্সির হাট ও আনন্দপুর ইউনিয়নের ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বাঁধের ৬টি স্থানে ভেঙে কমপক্ষে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবারও (১০ জুলাই) ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফেনী ছাগলনাইয়া সড়ক তলিয়ে গেছে। যেকোন সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।

এদিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। কোমর পানিতে তলিয়ে থাকা ফেনী শহরের পানি কমছে দ্রুত গতিতে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পানি নেমে গেলেও বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলিগলি এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। নতুন করে পাহাড়ি ঢলের পানি শহরে ঢুকলে আবারও তলিয়ে যেতে পারে শহর।

এরইমধ‍্যে অনেক মানুষ গত বছরের ভয়াবহ বন‍্যার আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। ফেনীর জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বানভাসিদের উদ্ধার তৎপরতা, খাদ‍্য সহায়তা, আশ্রয় ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বন্যার্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও নেটওয়ার্ক না থাকায় বিপাকে পড়েছে মানুষজন।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, পরশুরামের ১২টি ও ফুলগাজী উপজেলার ৮টিসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মোট ২০টি স্থান ভেঙে গেছে। তার মধ্যে মুহুরী নদীর ১০টি, কহুয়া নদীর ৬টি ও সিলোনিয়া নদীর ৪টি অংশে ভাঙনে অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে নতুন করে ফুলগাজীর আনন্দপুর, ছাগলনাইয়ার রেজুমিয়া, বেতাকা, সতের এলাকায় ৬টি স্থানে বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। চার উপজেলায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।

বানভাসিরা জানান, গেল বছরের বন্যার বছর না ঘুরতেই আবারও পানিতে ডুবতে হয়েছে। সব জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এ অঞ্চলে জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
 
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা তিন দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
 
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, রাত ৯টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে নদীর পানি কমেছে। ভাঙন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমার পরেই বাঁধ মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
 
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ফেনী সদর উপজেলার আংশিক অংশে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার মানুষ দুর্যোগে পড়েছে। ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

মন্তব্য (০)





image

গোপালগঞ্জে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন

নিউজ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গ...

image

এবার গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি

নিউজ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে স...

image

রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ

নিউজ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির ...

image

বৃষ্টি নিয়ে নতুন যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস

নিউজ ডেস্কঃ ঝাড়খন্ড এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘচুাপটি বর্ত...

image

নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধান উপ...

নিউজ ডেস্কঃ জুলাই শহীদদের স্বপ্ন বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত এক...

  • company_logo