• লিড নিউজ
  • অর্থনীতি

সচল থাকলেও সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছে না সোনাহাট স্থলবন্দর

  • Lead News
  • অর্থনীতি

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে দুটি স্থলবন্দর ও একটি নৌ-বন্দর রয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে চিলমারী ও রৌমারী নতুন স্থলবন্দরটি। শুধু সোনাহাট স্থলবন্দর সচল থাকলেও সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছে না সেটিও। তিন বন্দর ঘিরে জেলায় উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও তার সুফল পাচ্ছে না জেলার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরটি চালু থাকলেও বন্ধ রয়েছে চিলমারী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌ-বন্দর ও রৌমারী উপজেলার নতুন স্থলবন্দরটি। ২০১৩ সালে সোনাহাট স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হলেও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয় ২০১৬ সালে। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কুড়িগ্রাম-সোনাহাট সড়কও নির্মাণ করা হয়। তবে ব্রিটিশ আমলে তৈরি সোনাহাট রেল সেতুর পাশে সোনাহাট সেতু নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। এছাড়া জেলা শহরের পাশ দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় এ বন্দরের পুরোপুরি সুফল পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। যদিও সোনাহাট স্থলবন্দরে বার্ষিক রাজস্ব আয় প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। বন্দরটি সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা চিলমারী নৌ-বন্দরটি নতুন করে ২০১৬ সালে উদ্বোধন করা হলেও ছিল না তেমন কোনো কার্যক্রম। তবে চলতি বছর ৩৬ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নকাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ যা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। উত্তরাঞ্চলের একমাত্র এ নৌ-বন্দরটির উন্নয়নকাজ ও নদী ড্রেজিং শেষ হলে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে নদীপথে কম খরচে পণ্য আমদানি-রফতানিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করেন জেলার ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ২০০০ সালে রৌমারী উপজেলার নতুন বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানির মাধ্যমে শুরু হয় কার্যক্রম। এরপর থেকে কয়লার পাশাপাশি পাথর আমদানি এবং প্লাস্টিক ও ঝুট জাতীয় পণ্য রফতানি শুরু হয়। বন্দরটি চালুর সময় বার্ষিক রাজস্ব আয় ছিল ৩-৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের মে মাস থেকে বন্ধ রয়েছে বন্দরটি। এখনো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন শেষ হয়নি।

কুড়িগ্রামের শেখ ইন্টারন্যাশনাল আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শাহিন শেখ জানান, তিনি সোনাহাট স্থলবন্দরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে পাথর ও কয়লা আমদানি করে আসছেন। সোনাহাট বন্দর থেকে ঢাকার সঙ্গে রৌমারী বন্দরের দূরত্ব কম। কিন্তু বন্দরটি বন্ধ রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নও হয়নি। যদি নতুন বন্দর চালু করা যায় তাহলে সোনাহাট বন্দরের পাশাপাশি নতুন বন্দর দিয়ে পাথর, কয়লা আমদানি করে ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হতে পারবেন। দ্রুত সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু, বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও সোনাহাট সেতুর কাজ শেষ করে বন্দরটিকে পূর্ণতা দিলে রাজস্বের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারবেন বলে মনে করেন কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে এখানে। এছাড়াও চলমান চিলমারী নৌ-বন্দর উন্নয়নকাজ ও নতুন বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দর দুটি দ্রুত চালু করা হলে এ জেলার মানুষকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে না। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’ জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এজন্য দ্রুত বন্দরকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেছেন আব্দুল আজিজ।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সোনাহাট থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক জাতীয় সড়কে উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। সোনাহাট সেতুর কাজ চলমান। আর বাইপাস সড়কের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে। এছাড়া অন্যান্য বন্দরকেন্দ্রিক যে সড়কগুলো রয়েছে সেগুলোর কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে। যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোরও উন্নয়ন করা হবে।

মন্তব্য (০)





image

বড় দিনের উৎসব, হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

দিনাজপুর প্রতিনিধি: খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিনে...

image

‍বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বেনাপোল প্রতিনিধি : খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষ...

image

সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

অর্থনীতি ডেস্ক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান ...

image

পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে কনটেইনারবা...

অর্থনীতি ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রা...

image

সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

অর্থনীতি ডেস্কঃ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান...

  • company_logo