• অর্থনীতি

পঞ্চগড়ে দুই মাস বন্ধ থাকবে সব চা কারখানা

  • অর্থনীতি

ছবিঃ সিএনআই

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের চা বাগানগুলোয় সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং (ছাঁটাই) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টানা দুই মাস চা প্রক্রিয়াজাত করণ কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়টিতে চা পাতা উত্তোলন হবে না। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং বা ছাঁটাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে যেমন নতুন ভাবে তৈরি হবে চা পাতা তেমনি আগামী দুমাস পরিচর্যায় চায়ের গুণগত মান নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করবে।

জানা যায়, ২০০০ সালে পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে ১০ হাজার একর জমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। এদিকে গেল বছরে প্রচন্ড খরতাপ ও বাগান মালিকদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য না দেওয়া সহ বিভিন্ন কারণে চলতি মৌসুমে গেল বারের চেয়ে ৩৪ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। অপরদিকে ১ হাজার একর জমির চা বাগানে নষ্ট করেছে বাগান মালিকরা। এদিকে নতুন মৌসুমের সাথে সকল সংকট নিরসসহ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলায় চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে ২৯টি, ঠাকুরগাঁও এ রয়েছে ১টি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড়ের চা শিল্পকে আরো গতিশীল করার জন্য টি সফট মোবাইল এপ্লিকেশন ও অ্যাপ তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে কৃষক থেকে শুরু করে চায়ের অকশনের বায়ার পর্যন্ত চায়ের পরিসংখ্যান সফট্যাওয়ারের মাধ্যমে করা হয়। এই সফট্যাওয়ারে ১৪ দিনের একটি হিসেব পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫৩ হাজার ৬০৪ দশমিক ৭৬ কেজি চা নিলামের জন্য অকশন সেন্টারে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। যার প্রতিদিনের গড় মূল্য ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬১ টাকা ৯০ পয়সা। এবং যেখানে রাস্ট্রের গড় প্রতিদিন রাজস্ব আয় হয় ১৩ লাখ ৭২ হাজার ২৮১ দশমিক ৮৯ টাকা।

এদিকে চা চাষীদের অসন্তুষ্টি ও চাষ কমে আসার কারণ হিসেবে দেখা গেছে ফেক্টরীর কম্পিটিশন না থাকা। খারাপ কোয়ালিটি এবং চোরাই পথে চা বিক্রির কারণে চাষীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চাষিরা বলছেন তারা ভালোমানের চা দেয়ার পরেও ফেক্টোরীরা তা ঠিকমত নিচ্ছে না। তবে মৌসুমের শেষের সাথে এখন নতুন স্বপ্নে সবাই।

বাগান মালিক ও শ্রমিকরা বলছেন, বিগত বছর গুলোতে আমরা ফেক্টরীর নানা চক্রান্তের শিকার হয়েছি। বর্তমান কিছুটা সেই সমস্যা কেটেছে। এখন নতুন ভাবে চা বাগানগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। যেহেতু দেশে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সরকারের কাছে আশা করি নতুন মৌসুমে যাতে আমাদের পাতার ন্যায্য মূল্যসহ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। এজন্য আমরা ভালোমানের পাতা সংগ্রহে কাজ শুরু করেছি।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, গেল মৌসুমে জেলায় ১ কোটি ৭৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন হলেও চলতি মৌসুমে তা কমেছে। কম হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা তিনটি কারণ (চাষীদের ন্যায্য মূল্য না দেয়া, খরতাপ ও চোরাই পথে চা বিক্রি) পেয়েছে। অপরদিকে পঞ্চগড়ের চা'কে কিভাবে আরো ভালো করা যায় সে লক্ষে সকল সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। এদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ২ মাস প্রুনিং চলবে। এতে করে নতুন মৌসুমে সুন্দর গুণগত মানের চা পাতা পাওয়া যাবে।

মন্তব্য (০)





image

সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

অর্থনীতি ডেস্ক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দেশের প্রধান শে...

image

গুলশানে জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ...

অর্থনীতি ডেস্ক: ঢাকার গুলশানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ...

image

সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

অর্থনীতি ডেস্ক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দেশের প্রধান শেয়...

image

বগুড়ায় নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ  সরবরাহে 'ফ্রেশ ফার্মাস' এর য...

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় বুধবার বিকেলে সরকারি আজিজুল হক কলেজ নতুন ভব...

image

সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

অর্থনীতি ডেস্ক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৫ মার্চ) দেশের প্রধান শেয়ার...

  • company_logo