• প্রশাসন

ঘোড়াঘাটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৌনে ১৪শ একর জমি নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রেস ব্রিফিং

  • প্রশাসন

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায়ের মালিকানাধীন  ১৩৭৫ একর জমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়ে আজ বুধবার ঘোড়াঘাটে অস্হায়ী সেনা ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং ক্যাম্প ইনচার্জ মেজর নাজমুল হায়দার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনা বাহিনীর ২৫ বীর এর উপ - অধিনায়ক মেজর নূর এ শহীদ ফারাবী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সরকারি কৌসূলী মোল্লা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, ঘোড়াঘাটে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঘোড়াঘাট থানায় কর্মরত ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ স্হানীয়রা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর নাজমুল হায়দার লিখিত বক্তব্যে জানান, ঘোড়াঘাটে এমএফআরও বা মিলিটারি ফ্যামিলি রিহ্যাবিলিটেশন অফিসার সশস্ত্র বাহিনীর  কল্যাণমূলক সংস্থার নামে রেকডিও মালিকানাধীন  ১৩৭৫ একর জমি রয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর গঠিত হয়েছে সংস্হাটি। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসন তথা কল্যাণের লক্ষ্যে সংস্হাটির কাজ। দেশ বিভক্তির কারনে ভারত হতে আগত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা ওই সময়ে মোহাজের নামে পরিচিত ছিল। তাদের পুনর্বাসনের জন্য তৎকালীন সময়ে দিনাজপুর গাইবান্ধা এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট ৩ হাজার ৫২৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণের পর মিলিটারি ফ্যামিলি রিহ্যাবিলিটেশন অফিসার সশস্ত্র বাহিনীর  কল্যাণমূলক সংস্থা বা এমএফআরও কর্তৃক সামরিক কলোনী গঠন , র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী প্লট বরাদ্দের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা হয়। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে এমএফআরও এর কার্যক্রম স্থগিত হলেও পরবর্তীতে যুদ্ধের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ""প্রতিরক্ষা কলোনির জমি বরাদ্দ ও রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি’’ গঠন করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হেনা ওই সময়ে উক্ত কমিটির প্রধান ছিলেন। সে সময় থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রানলয়ের আওতাধীন ""প্রতিরক্ষা কলোনীর জমি বরাদ্দ ও রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি’’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই কলোনির জমি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। 

সেনা প্রকল্পের জমির মালিকানা দাবিতে চলতি বছরে ১৫ই মে এবং ১২জুলাই নুরজাহানপুর, খোদাদাতপুর, ওসমানপুর, হায়দারনগর এবং আফসারাবাদ কলোনীর কিছু বাসিন্দা মানববন্ধন করে এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্বারকলিপি আবেদন উপস্থাপন করে। মালিকানা দাবি সংক্রান্ত ২টি আবেদনে কোনো ধরনের বৈধ দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেনি। 

এব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমএফআরও বা মিলিটারি ফ্যামিলি রিহ্যাবিলিটেশন অফিসার সশস্ত্র বাহিনীর  কল্যাণমূলক সংস্থার নামে রেকডিও মালিকানাধীন জমির তথ্য সাম্প্রতিক সময়ে হাল নাগাদের কাজ চলার সময় স্হানীয় কিছু রাঘব সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ দাড় করাতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইন্ধন দিচ্ছে। এছাড়াও বরাদ্ধ পাওয়া জমির চাইতে কয়েকগুন জমি দখলে নিয়ে জাল দলিলে মালিকানা সাজার চেষ্টা চালাচ্ছে কেউ কেউ। এমএফআরও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অলীক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দুষ্কৃতিকারী বেশ কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমুলক বক্তব্য প্রদান করে জনগণকে এম এফ আর ও এর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েন সংঘাতসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার জন্য উসকে দিচ্ছে। নৈতিবাচক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে একটি অসাধু চক্র তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে জনগণকে ব্যবহার করে এমএফআরও এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত তৈরি করছেন এবং বাধা প্রদান করছে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, প্রতিরক্ষা কলোনীতে জমি বরাদ্দের সময় প্রাথমিক ভাবে সাদা কাগজে এমএফআরও এবং তফসিল অফিসের প্রতিনিধির মাধ্যমে তৈরিকৃত সাদা কাগজের টোকেন দেয়া হয়েছে। জমি বরাদ্দ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পূবেই ১৯৬২ সালের এসএ রের্কড এ এ্যালোটিদের কে প্রদত্ত টোকেনের প্রেক্ষিতে তাদের নামে রের্কড সম্পন্ন হবার কারনে মালিকানা সংক্রান্ত একটি জটিলতা তৈরি হয়। পাশাপাশি একাত্তরের যুদ্ধের পূর্বে ও পরে মোহাজেরদের স্থান ত্যাগ এবং মৃত্যুবরণের কারণে অনেক জায়গা খালি পড়ে থাকে। এই খালি জায়গা গুলো অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যায় এবং বিভিন্ন কুচক্রী মহল জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে অবৈধভাবে জমি ক্রয় বিক্রয় ও হস্তান্তর শুরু করে। এছাড়াও মোহাজের পরিবার, মূল এ্যালোটিদের ( (বরাদ্ধ প্রাপ্ত) অনেকেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও নোটিশ প্রদানের পরও তাদের জমি ৯৯ বছরের জন্য লীজডীড করে নেননি। ফলশ্রুতিতে  প্রতিরক্ষা কলোনীর জমির মালিকানা ও রের্কড সংক্রান্ত জটিলতা আরো বৃদ্ধি পায়। এই বিষয়টি সুরাহা করার লক্ষ্যে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমএফআরও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করে আসছে যার অনেকগুলোর রায় ইতিমধ্যেই এমএফআরও এর পক্ষে এসেছে। এছাড়াও জটিলতা নিরসনকল্পে গঠিত বিভিন্ন তদন্ত আদালতের কার্যবিবরণীতে যে সকল সুপারিশ প্রণয়ন করেছেন সেই সকল সুপারিশের প্রেক্ষিতে এবং সর্বোপরি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃ মন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই জমির রেকর্ড সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের ব্যাপারে আইনানুগভাবে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

 এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যেই এই ঘোড়াঘাট উপজেলার ৫টি কলোনির ১ হাজার ৩৭৫একর জমির মধ্যে প্রায় ৪৭১ একর জমি এমএফআরও তথা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডের নামে রেকর্ড হয়েছে এবং বাকি জমির রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন। এমএফআরও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ তিন বাহিনীর কল্যানের জন্য নিয়োজিত একটি সরকারি সংস্থা যা সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে এবং প্রতিষ্ঠিত নিয়ম নীতিমালার মধ্যে থেকে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আইনের ব্যত্যয় করার কিংবা আইনের বাইরে এমএফআরও এর কাজ পরিচালনা করার কোন তথ্য কিংবা প্রমান এখনো পর্যন্ত কেউ কোথাও উপস্থাপন করতে পারেনি। কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ ব্যতিরেকে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করে এমএফআরও’কে বিতর্কিত করা এবং একটি সরকারি অঙ্গ সংগঠনের কাজকে হেয় প্রতিপন্ন ও অপবাদ অপব্যাখ্যা করে জনগণকে এমএফআরও’র পিছনে লেলিয়ে দেওয়ার মত অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে  উল্লেখ করা হয়েছে , দুষ্কৃতিকারীদের অবৈধ পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। আইন আইনের গতিতে চলবে এবং এমএফআরও আইনানুগভাবেই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে গেজেটভুক্ত এই জমি উদ্ধারের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে বা কোন ধরনের অপরাধ করলে সেটাও আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা করা হবে। মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে এমএফআরও’র কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করলে সেটা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে জন্য আইনানুগভাবে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপরন্তু আইনের মধ্যে থেকে যারা ভুক্তভোগী পরিবার, যারা জাল-জালিয়াতির ফলে ভোগান্তির শিকার, তাদের ও সাধারন মানুষের পক্ষে আইনের মধ্য থেকে মানবিকতা বজায় রাখা হবে। কিন্তু অবৈধ, অন্যায়, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা বলে আমাদের আইনি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করা হবে ।

 গত  ১৫ ই মে  পেশকৃত স্মারকলিপিতে আনিত অভিযোগ উল্লেখ যারা উল্লেখ করেছিল  এমএফআরও বিভিন্ন শর্তে লিজডিড করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে যা অত্যন্ত অবান্তর ও অমূলক। ৯৯ বছরের ডীড প্রথা আইনানুগভাবে চালু হয়েছে এবং নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে তাদের সকলকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩ জেলায় মোট ১৬৭ টি তন্মধ্যে ঘোড়াঘাটে উপজেলায় ৭৬টি পরিবার ৯৯ বছরের ডীড সম্পন্ন করেছেন যাদের নামে চলমান বিআরএস রেকর্ড অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ এই বিষয়ে একমত হয়েছেন। অতএব ৯৯ বছরের লীজডীড সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ আইনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, লিজ বা কবুলিয়ত প্রদানের অধিকার শুধুমাত্র সরকারের পক্ষে ডেপুটি কালেক্টর উপর অর্পিত হয়েছে, এমএফআরও’র উপরে নয়, যার স্বপক্ষে কোন আইনি দলিল নাই। আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমএফআরও জরিপ কর্মকর্তাগনের উপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড এর নামে খতিয়ান প্রস্তুত করেন, যা অত্যন্ত ভিত্তিহীন ও বানোয়াট একটি কথা। এমএফআরও এর প্রভাবে জরিপ অধিদপ্তর'কে অভিযুক্ত করা হয়েছে যার কোন দালিলীক প্রমাণ বা অভিযোগ এখন পর্যন্ত কোথাও উপস্থাপিত হয়নি বা প্রমাণিত হয়নি। আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমএফআরও ৯৯ বছরের ডীড করে নেয়ার জন্য জোর জুলুম বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে যা অত্যন্ত অবান্তর এবং মিথ্যা অপবাদ। স¥ারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ২৯, ৩০ এবং ৩১ বিধি’র কেস দিয়ে আমরা জনগণকে হয়রানি করছি। এই বিধিগুলো আইনের রেকর্ড সংক্রান্ত বিধি এবং আইনগত ভাবে যে কারো এই বিধিতে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। অতএব, এখানে জোর জবরদস্তির এবং হয়রানি করার কোন প্রশ্নই আসে না।

এছাড়াও গত ১২ জুলাই পেশকৃত স্মারকলিপিতে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা পূর্বে উল্লেখিত অভিযোগ গুলোর মতই। এখানেও ৯৯ বছরের লিজডীড এবং বাৎসরিক লিজ নেয়ার জন্য জোর জুলুম ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে যা বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতীয়মান। এছাড়াও বেআইনিভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ/সংস্কার কাজে বাধা প্রদান ও জমি চাষে বাধা প্রদান করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সর্ম্পূণ বানোয়াট ও মিথ্যা। বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত প্লটে মামলা চলমান রয়েছে অথবা পরিপূর্ণভাবে স্ট্যাম্পের উপরে কোন ধরনের দলিল দস্তাবেজ ছাড়াই জমি ক্রয় বিক্রয় হয়েছে শুধুমাত্র সেই সমস্ত দুই/একটি জায়গায় যারা রাতারাতি কাজ করছিল বা জমি দখলে নেয়ার জন্য রাতারাতি স্থাপনা তৈরি করছিল তাদের অবৈধ কাজকে আপাতত স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। এটি একটি আইনানুগ সিদ্বান্ত।

স্মারকলিপিতে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে, এম এফ আর ও অবৈধভাবে জমি দখল করছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট একটি অভিযোগ। এম এফ আর ও সাধারণ জনগণের বিপক্ষে নয়। সেনা বাহিনী মূলত পুনর্বাসিত মোহাজের সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণের জন্য কাজ করছে। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে এম এফ আর ও এর স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগস্ত করছে। জনগণকে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে এম এফ আর ও'কে বিতর্কিত করতে অপ্রপ্রয়াস চালাচ্ছে। 

মন্তব্য (০)





  • company_logo