
ছবিঃ সিএনআই
রংপুর ব্যুরো: রংপুর মহানগরীর সিওবাজার এলাকায় একটি এলপি গ্যাস স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে গেছে অন্তত ২০টি যানবাহন।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নগরীর সিওবাজারে অবস্থিত 'এলপিজি অটো গ্যাস অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টার'-এ এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেশনের একটি রিজার্ভ ট্যাংকে মেরামতের সময় জমে থাকা গ্যাস হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। চারদিকে ধোঁয়ার কুন্ডলি, পুড়ে যাওয়া যানবাহনের ধ্বংসাবশেষ, এবং আতঙ্কিত মানুষের ছুটোছুটি এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশও।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক বাদশা মাসউদ আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস।ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট আহতের সংখ্যা ২০ জন।তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মাইক্রোবাস, বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক এবং শ্রমিক।
নিহত সেলিম রেজা (৩৫) টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর উপজেলার আমজাদ হোসেনের ছেলে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গ্যাস ট্যাংকের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণে স্টেশনে থাকা ১৩টি মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ আশপাশের দোকান ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।প্রধান সড়কে চলাচলরত দুটি যাত্রীবাহী বাসও আগুনে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা,নরুল ইসলাম, জয়নাল ও গফুর মিয়া বলেন, “গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক আর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্যাস স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “বিস্ফোরণে অন্তত ২০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে।”
রংপুর সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে,স্টেশনটির লাইসেন্স, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রেখে সাধারণ জনগণকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান জানান,আহতদের মধ্যে ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষ হাসপাতালে মারা গেছেন।আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরের অন্যতম মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায়তন ডি এ ...
ফেনী প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্য...
গোপালপুর প্রতিনিধি: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে...
পাবনা প্রতিনিধিঃ দরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির...
রংপুর ব্যুরোঃ নতুন ডিজাইন,আধুনিক ফিচার এবং অধিক ...
মন্তব্য (০)