
নওগাঁ প্রতিনিধি: এবার ইদুল আজাহার দীর্ঘ ছুটিতে বন্ধ ছিলো নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মানব সেবা ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম। ইদের ছুটিতে কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সংলগ্ন চারটি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ইদের ছুটিতে সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় উপজেলাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা, গত ৫ই জুন থেকে ইদুল আজাহার ছুটি শুরু হয়। দীর্ঘ ১০দিনের ইদের এই ছুটির সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মানব সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা এবং গর্ভকালীন সেবা, প্রসবসেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা, সাধারণ কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। কিন্তু রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মিরাট, গোনা, বড়গাছা ও পারইল ইউনিয়নের মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ইদের ছুটিতে বন্ধ থাকার কারণে এই অঞ্চলের কোন মানুষই সেবা পায়নি। অথচ নিজের বিভাগকে খুশি করতে এবং নিজেদের অনিয়ম আর দুর্নীতিকে হালাল করতে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেবা প্রদান না করেও সেবা প্রদান করার বিষয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে করে নানা অনিয়মে জড়িত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে সেবা গ্রহিতাদের মাঝে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
গোনা ইউনিয়নের গোনা দীঘির পূর্ব পাড়ার ডিস ব্যবসায়ী রুস্তুম সরদার জানান ইদের দীর্ঘ ছুটিতে গোনা কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা ছিলো না। মাঝে মধ্যে এক ঘন্টা কোন দিন দুই ঘন্টার জন্য খোলা থাকে এই হাসপাতালটি। ডাক্তার কখন আসে আর কখন যায় তার কোন ইয়াত্তা নেই। গেলে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। আর হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা বলেন ওষুধের বরাদ্দ নেই।
গোনা খানপাড়ার মৃত-আব্দুর রহমান মন্ডলের ছেলে জনাব আলী জানান তার বাড়ি গোনা কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন। এবার ইদের দীর্ঘ ছুটিতে হাসপাতালটি খোলা ছিলো না। ইদের ছুটিতে খোলা থাকলে অবশ্যই দেখা যেতো। লোকজন ওষুধ নিতে আসতো। ইদের ছুটির মধ্যে খোলা থাকলে অবশ্যই দেখতে পেতাম। ইদের পর এখন খোলা থাকে হাসপাতালটি।
একই অবস্থা ছিলো উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পারইল ইউনিয়নের পারইল বাজার মাদ্রাসা সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রই ইদের দীর্ঘ ছুটিতে পুরোপুরি বন্ধ ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। সেবা প্রদান না করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মাঝে নেতিবাচক ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করায় এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে উপজেলার সচেতন ব্যক্তিরা।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরে আলম জানান জনবল ও ওষুধের সংকটসহ নানা সমস্যা মাথায় নিয়ে দেশের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেবা প্রদানের চেস্টা করে আসছে। আর তিনি উপজেলাতে সবেমাত্র যোগদান করেছেন। তিনি সেবা প্রদান না করার বিষয়ে খোঁজ খবর নিবেন বলে জানান।
মন্তব্য (০)