• সমগ্র বাংলা

লালমনিরহাটে ধরলা নদীতে ভাঙ্গন, হুমকিতে ফসলি জমি

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :লালমনিরহাটে ধরলা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি,বসতভিটা সহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙ্গনরোধ হচ্ছে না। ভাঙ্গন প্রতিরোধকারী জিও ব্যাগও নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি অস্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা না করে স্থায়ীবাদ নির্মাণ করার।

সরেজমিনে দেখা গেছে,লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ধরলা নদী। বর্তমানে নদীটিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। নদীর দুই তীরে ভাঙ্গনে ওই ইউনিয়নের শিবেরকুটি, বাসুরিয়া,কুরুল,ফলিমারী সহ ১০ টি গ্রামের ফসলি জমি, বসতভিটা সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে ওইসব গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর। নদীটির উভয় তীরে ১১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে এ ভাঙ্গন। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গনরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।

নদী পাড়ের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম, শামসুর রহমান বলেন, নদীতে আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি চলে গেছে। আমরা ইতিমধ্যে আমরা পাঁচবার করে বাড়ি সড়িয়েছি। এখন সড়কের ধারে বসবাস করছি। ভাঙ্গন থেমে নেই। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও পানির স্রোত আর বাতাসের কারণে অস্থায়ীভাবে এ ভাঙ্গনরোধ কাজে আসছে না। ফলে দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন ওইসব গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।

লালমনিরহাট বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ধরলা নদীর ভাঙ্গন কবলিত ১১ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ীভাবে কাজের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি পাস হয়ে আসলে আমরা কাজ শুরু করব।

স্থায়ীভাবে ধরলা নদীর ভাঙ্গনরোধ করে জমি জায়গা, বাড়িঘর সহ স্থাপনা রক্ষার দাবি স্থানীয়দের।

মন্তব্য (০)





  • company_logo