• লাইফস্টাইল

রাতে দুধ খাওয়া ভালো নাকি খারাপ, কী বলছে চিকিৎসাবিজ্ঞান

  • লাইফস্টাইল

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে রাতে শোবার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করার অভ্যাস দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। এটিকে শুধু পারিবারিক প্রথা হিসেবেই নয়, বরং ভালো ঘুম এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলেও ধরা হয়।

কিন্তু এই অভ্যাসটি কি সবার জন্য স্বাস্থ্যকর? রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী মতামত দেয়, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

রাতে দুধ খাওয়ার পক্ষে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুক্তি

চিকিৎসাবিজ্ঞান বেশ কিছু কারণে রাতে দুধ খাওয়ার পক্ষে মত দেয়। সেগুলো হচ্ছে—

ভালো ঘুমের সহায়ক : দুধে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিড থাকে। এই ট্রিপটোফ্যান মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন নামক হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। মেলাটোনিন ‘ঘুমের হরমোন’ নামে পরিচিত, যা ঘুম-জাগরণের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘুম আসতে সাহায্য করে।

মানসিক শান্তিদায়ক : উষ্ণ দুধ পান করা শৈশবের আরামদায়ক স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত। উষ্ণ পানীয় স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি দেয়, যা ভালো ঘুমের পরিবেশ তৈরি করে।

ক্যালসিয়াম সরবরাহ : রাতে দুধ খেলে তা দীর্ঘসময় ধরে শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়, যা হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ : শোবার আগে দুধ পান করলে তা রাতের বেলা হঠাৎ ক্ষুধা লাগা বা বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে পারে।

রাতে দুধ খাওয়ার বিপক্ষে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুক্তি

সবার জন্য রাতে দুধ খাওয়া সমানভাবে উপকারী নাও হতে পারে, বিশেষত কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে—

ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতা : যারা ল্যাক্টোজ সহ্য করতে পারেন না, রাতে দুধ খেলে তাদের পেটে গ্যাস, ফোলাভাব, পেট ব্যথা বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে রাতে দুধ হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

হজমের সমস্যা ও এসিড রিফ্লাক্স : কিছু মানুষের ক্ষেত্রে রাতে ভারী খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে এসিড রিফ্লাক্স বা বুক জ্বালার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি শোবার সঙ্গে সঙ্গে দুধ খাওয়া হয়।

ওজন বৃদ্ধি : দুধ একটি ক্যালরি-ঘন পানীয়। রাতে খাওয়ার পর শারীরিক কার্যকলাপ না থাকলে এই ক্যালরিগুলো ফ্যাট হিসেবে জমা হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

অন্যান্য শারীরিক সমস্যা : শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, কফ বা সর্দি-কাশির প্রবণতা থাকলে রাতে দুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ দুধ শ্লেষ্মা বা কফ উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও এই ধারণার পক্ষে শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

রাতে দুধ খাওয়া মূলত ব্যক্তিগত হজম ক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। যদি আপনার কোনো হজমের সমস্যা না থাকে, তবে উষ্ণ দুধ ভালো ঘুম এবং ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে সমস্যা থাকলে শোবার অন্তত এক ঘণ্টা আগে দুধ পান করা উচিত অথবা এড়িয়ে চলা উচিত।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

 

মন্তব্য (০)





image

ওজন নিয়ন্ত্রণে আসার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ

নিউজ ডেস্ক : ওজন কমানো একটি ধীর এবং কঠিন প্রক্রিয়া, বিশেষ করে যখন আপনি ...

image

শীতে অ্যাজমার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক : শীতের হালকা ঠান্ডায় অ্যাজমা বা হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যেতে পা...

image

জেনে নিন হৃদরোগ হলে হাঁসের ডিম খাওয়া যাবে কিনা

নিউজ ডেস্ক : কারও প্রিয় মুরগির ডিম, আবার কারও হাঁসের ডিম। একেক জনের পছন্...

image

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকীর রস খান, কমবে ওজন

নিউজ ডেস্ক : আমলকী এমন একটি ফল, যা পুষ্টিগুণের পাওয়ার হাউস বলা হয়৷ এই ছ...

image

খিলগাঁওতে ‘মাইক্লো বাংলাদেশ'-এর যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাপানি লাইফস্টাইল থেকে অনুপ্রাণিত তৈরি পোশ...

  • company_logo