
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু অভিযোগ করেছেন, জামায়াতে ইসলামী কেবল নিজেদের স্বার্থের কথাই বোঝে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথ আন্দোলন করেছিল এবং পরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারও গঠন করে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিলেন। অথচ এখন সেই জামায়াত দেশে ‘পিআর’ (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করছে—যা দেশের জনগণের কাছে অপরিচিত।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন এ আলোচনার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমসহ অনেকে।
বরকত উল্যাহ বুলু বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা, বিএনপি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, কৃষক ও শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। তিনি না গেলে দেশে দমন-পীড়ন ও জুলুম আরও ভয়াবহ হতো। এখন আমরা তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে। ২০২২ সালে ৪২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এই ৩১ দফা তৈরি হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই সংস্কারের মধ্যেই যদি পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সুবিধা হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বুলু বলেন, সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে, রমজানের আগে, নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। তিনি সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং নির্বাচন আয়োজনে বিরোধীদলীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় ওবায়দুর রহমান শাহীন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি জানান। তিনি বলেন, কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে এখন পর্যন্ত ৬৬ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, কিন্তু অধিকাংশ ঘটনার বিচার হয়নি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম বলেন, গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিনকে কেবল একটি ভিডিও ধারণের কারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ও অবহেলার শিকার হচ্ছেন। অথচ অনুষ্ঠান বা ঘটনার সুষ্ঠু আয়োজন অনেক সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তিনি সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান।
নিউজ ডেস্ক : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনে প্রার...
নিউজ ডেস্ক : আবারও দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য ...
নিউজ ডেস্ক : কমরেড হারুন চৌধুরী নিজেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) ...
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সা...
নিউজ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে আনিসুল ইসল...
মন্তব্য (০)