• বিশেষ প্রতিবেদন

ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরাঞ্চলের জনপদ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৭ জানুয়ারী, ২০২১ ১০:২৯:৪৪

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরো: ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরাঞ্চলের জনপদ। আবারও বাড়ছে শীত ও ঠান্ডা,পড়ছে ভোগান্তিতে এ অঞ্চলে খেটে খাওয়া নিন্মআয়ের মানুষ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে অতিরিক্ত ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরাঞ্চলের রাস্তাঘাট।নিম্নআয়ের খেটেখাওয়া মানুষ পড়ছে বিপাকে ও ভোগান্তিতে।তবে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেক মানুষ।কেউ আবার বের হলে গরম কাপড় পরে বের হচ্ছেন। রংপুর আবহাওয়া অফিস বলছেন,উত্তরাঞ্চলে আজকে সর্বনিম্নতাপমাত্রা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯দশমিক ৫ ডিগ্রী ও রংপুরে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাত থেকে ঘনকুয়াশা পরে অঞ্চলে। দুপুরের আগে সুর্যের আলো দেখা যায়নি এ অঞ্চলে।  

বৃধবার (২৭জানুয়ারি) উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে সর্বনিম্নতাপমাত্রা ৯দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে রংপুরে ১১দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রের্কড।ঠান্ডা বাতাস থাকায় সাধারন মানুষ পড়ছে ভোগান্তিতে।তবে জানুয়ারীর শেষ দুইদিন বাড়তে পারে প্রচন্ড শীত ও কনকনে ঠান্ডা।উত্তরাঞ্চলের আকাশে ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে মাঠঘাট কষ্টে নিম্নআয়ের মানুষ।হিমেল হাওয়া ও ঠান্ডাবাতাসের আদ্রতা সাথে কুয়াশা বেড়ে যাওয়া কাপছে উত্তরাঞ্চলের জনপদ। 

আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান,উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে সর্বনিম্নতাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে রংপুরে ১১দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রের্কড। তিনি আরও জানান,পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার ও ভারত সীমান্ত দিয়ে নেপাল ও বিহার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঠান্ডা বাতাস আর শীত। এ কারনে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর সাথে শীত ও ঘনকুয়াশা বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা।জানুয়ারী মাসের শেষ দুইদিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।তাপমাত্রা কমে গেলে বাড়বে তীব্র ঠান্ডা।  

শৈত্যপ্রবাহের ফলে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশা আরও শীত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা।রংপুরে ঠান্ডার সাথে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতজনিত রোগ বাড়ছে জেলায়।ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে শীত জনিত রোগ নিয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।   

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা:হিরম্ব  কুমার রায় জানিয়েছেন,ঘনকুয়াশা সাথে প্রচন্ড ঠান্ডার এ কারনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শীতজনিত রোগি নিউমোনিয়া ডায়রিয়া যক্ষা হাচি-কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে নানান বয়সের মানুষ।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলায় বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪শ শিশু বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ।  

হাসপাতালগুলোতে রোগিদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম ক্ষেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।আবার শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক এলাকাতে খড়খুটে জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত ২৫ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৬জন নারী মারা গেছেন।ভর্তি করা হয়েছে অগ্নিদগ্ধ ২৩জন রোগি।যা বেশির ভাগেই নারীরা।   

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান,ঠান্ডা আর শীতের সাথে ঘনকুয়াশা বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের মানুষ পড়ছে ভোগান্তিতে।এ কারনে জেলায়ন পর্যাপ্ত পরিমাণ কম্বল ও অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে মন্ত্রনালয়ে।     

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo