উত্তরাঞ্চলে শীতে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি   

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরো: উত্তরাঞ্চলে শীত ও ঘনকুয়াশায় বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। বাড়ছে শীত ও ঠান্ডা,পড়ছে ভোগান্তিতে এ অঞ্চলে খেটে খাওয়া নিন্মআয়ের মানুষ।মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে অতিরিক্ত ঠান্ডা।নিম্নআয়ের মানুষ পড়ছে বিপাকে ও ভোগান্তিতে। তবে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেক মানুষ। কেউ বের হলে গরম কাপড় পরে বের হচ্ছেন।রংপুর আবহাওয়া অফিস বলছেন,মধ্যরাত থেকে ঘনকুয়াশা পড়ছে এ অঞ্চলে।সুর্যের আলো দেখা যায়নি এ অঞ্চলে।উত্তরাঞ্চলের আকাশে ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে মাঠঘাট কষ্টে নিম্নআয়ের মানুষ।হিমেল হাওয়া ও ঠান্ডাবাতাসের আদ্রতা সাথে কুয়াশা বেড়ে যাওয়া কাপছে উত্তরাঞ্চলের জনপদ।

মঙ্গলবার(২৬জানুয়ারি)উত্তরাঞ্চলের ৮-৯ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে তাপমাত্রা।ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস থাকায় সাধারন মানুষ পড়ছে ভোগান্তিতে।আবারও জানুয়ারীর শেষ দিকে বাড়তে পারে প্রচন্ড শীত ও কনকনে ঠান্ডা।জানুয়ারী শেষ পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশংকা করছেন আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান,উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া ও ভারত সীমান্ত দিয়ে নেপাল ও বিহার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঠান্ডা বাতাস আর শীত।এ কারনে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে।এর সাথে শীত ও ঘনকুয়াশা বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা।জানুয়ারী মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।তাপমাত্রা কমে গেলে বাড়বে তীব্র ঠান্ডা।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সাথে উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশার সাথে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। শৈত্যপ্রবাহের ফলে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশা আরও শীত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা। রংপুরে ঠান্ডার সাথে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতজনিত রোগ বাড়ছে জেলায়। ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে শীত জনিত রোগ নিয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা:হিরম্ব  কুমার রায় জানিয়েছেন,অতিরিক্ত ঘনকুয়াশা সাথে প্রচন্ড ঠান্ডার এ কারনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শীতজনিত রোগি নিউমোনিয়া ডায়রিয়া যক্ষা হাচি-কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে নানান বয়সের মানুষ। 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলায় বিভিন্ন  উপজেলারস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪শ শিশু বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ।এ কারনে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম ক্ষেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।তবে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক এলাকাতে খড়খুটে জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত ২৫ দিনে রংপুর বার্ণ ইউনিটে ৬জন নারী মারা গেছেন।

ভর্তি করা হয়েছে অগ্নিদগ্ধ ২৩জন রোগি। যা বেশির ভাগেই নারীরা রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান,ঠান্ডা ও শীতের সাথে ঘনকুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডা অনেক বেড়ে গেছে ফলে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গরীব মানুষ পড়ছে কিছুটা ভোগান্তিতে তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ কম্বল ও অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।