• অর্থনীতি

ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি

  • অর্থনীতি
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:০৯:০৬

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ পুঁজিবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির বিষয়টি বারবার কেবল ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মন্তব্যেও গড়িমসির বিষয়টি স্পষ্ট। বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকেই এসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারমুখী হতে চায় না।
 

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা সাড়ে তিন শতাধিক। তবে বাজারে বিনিয়োগযোগ্য ভালো মানের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম, বিনিয়োগকারীদের এমন অভিযোগ স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বিশ্লেষকরা।

তিনি বলেন, বাজারকে শক্তিশালী করতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও বিডিবিএল এর শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেন।

৩১ অক্টোবরের মধ্যে ধাপে ধাপে ব্যাংকগুলোকে তালিকাভুক্ত করার পর এসব ব্যাংকের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ার পর্যায়ক্রমে ছাড়ার পরিকল্পনা জানা গেলেও এখনো কোন অগ্রগতির তথ্য দিতে পারেননি এ সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা।

অগ্রণী ব্যাংকের এমডি শামস-উল-ইসলাম বলেন, মার্কেটে যাওয়ার যে ধরনের নির্দেশনা দরকার সেটা আমাদের কাছে এখনো আসে নাই।

জনতা ব্যাংকের এমডি আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, রূপালীর রিমেইনিং পার্টটা যদি শুরু হয়ে যেত, তাহলে বোঝা যেত ধীরে ধীরে তখন আমাদের প্রিপারেশনের পার্টটা চলে আসতো। ওদের পর আইসিবি (মূলত বিডিবিএল) তারপর অগ্রণী, জনতা। কাজে আমাদের প্রস্তুতির অংশটি ওইভাবে মূল্যায়ন হয়নি। এ বিষয়ে রিসেন্ট কোন মিটিংও হয়নি।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বর্তমানে শুধু রূপালী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। বাজারে ১০ শতাংশের কম থাকা রুপালী ব্যাংকের শেয়ার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা। কিন্তু সরকারি ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির গতিকে সন্তোষজনক বলছেন না বিশ্লেষকরা।

জিবাজার বিশ্লেষক বলেন, সাব্বির আহমেদ বলেন, ভ্যালুয়েশন করার জন্য তিনমাস থেকে ছয়মাস পর্যাপ্ত। না হওয়ার জন্য সরকারের নজরদারির অভাব রয়েছে।

বর্তমান অর্থমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানার সাত কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo