• সমগ্র বাংলা

হবিগঞ্জে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রেমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

  • সমগ্র বাংলা
  • ০১ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:৩০:৫৬

ছবিঃ সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্কঃহবিগঞ্জের বাহুবলে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফয়সল আহমেদ নামে এক কলেজছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন। শনিবার রাতে উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার সকালে ফয়সলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফয়সল জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউপির হাসারগাঁও গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও কোরআনে হাফেজ।

দীর্ঘদিন ধরে বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউপির দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে ফয়সলের প্রেম চলছিল। তারা দুজন একই কলেজে পড়েন। কিছুদিন আগে লিজা তাদের সম্পর্কের কথা মাকে জানান এবং ফয়সলকে পরিচয় করিয়ে দেন। একপর্যায়ে লিজার কথায় প্রেমিককে বাড়িতে দাওয়াত করেন মা লিপি বেগম।

এরই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে প্রেমিকার বাড়িতে যান ফয়সল। এরপর প্রেমিকার পরিবারের লোকজন ফয়সলের হাত-পা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাত বলে পুলিশে খবর দেয়। পরে ফয়সলকে উদ্ধার করে নিজ পরিবারের জিম্মায় দেয় পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।

এরইমধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, প্রথমে ফয়সলের মাথার পাগড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা হয়। পরে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করেন প্রেমিকার বাড়ির লোকজন। এ সময় তিনি বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করছেন। এরপরও চালানো হয় বর্বর নির্যাতন।

ফয়সলের বাবা আহসান উল্ল্যা বলেন, আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। বর্তমানে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকে চিনতে পারছে না।

ফয়সলের বোন হুনফা আক্তার জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই বাড়ির মেয়ের সঙ্গে তার ভাইয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু মেয়ের মায়ের কারণে তাদের সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। তিনি তার ভাইকে নির্যাতনের বিচার চান।

বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে শুনছি চোরকে মারধর করা হচ্ছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ছেলেটি ভদ্র। আমার সন্দেহ হলে তাকে তার স্বজনদের কাছে তুলে দেই।’   

বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রকে ফোন করে আনা হয়েছে না-কি তিনি নিজেই এসেছেন বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo