• মুক্তমত

ইংরেজি বানানে যেভাবে পিছিয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্ম

  • মুক্তমত
  • ১৮ আগস্ট, ২০২০ ১৮:২০:০৬

ফাইল ছবি

মোহাম্মদ তারেক, চট্টগ্রাম:  ইংরেজিতে বানান ভুল হওয়ার পিছনে একটা কারণে খুব বেশি চোখে পড়তেছে সেটা হচ্ছে আমাদের নতুন প্রযন্মের ছেলেমেয়েরা যখন মেসেঞ্জার,হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমু সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যাট করে বা লিখালিখি করে তখন কি-বোর্ডের বিভিন্ন অপশনে লিখে থাকে যেমন অভ্র,জাতীয়,ইংরেজি। কিন্তু যেই তিনটা বললাম তার শুদ্ধটা ব্যবহার করতে পারলে তা অধিক উত্তম। আর যারা পারেনা তাদের চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু আমাদের মধ্যে ইংরেজি বানানের অবনতি হওয়ার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে আমরা বাংলা ইংরেজি বাদ দিয়ে বে-ইংলিশ টা ব্যবহার করি। যেমন ami, tumi,agamikal ইত্যাদি যা ইংরেজি বানান চর্চা থেকে আমাদের সম্পুর্ন দুরে রাখছে। 

আমরা আধুনিক যুগের সুফল আশা করতেছি কিন্তু আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপকরণ গুলা অর্জন করতে সক্ষম নয়। আধুনিক যুগের সবচেয়ে পরিচিত এবং মুল শব্দটা হচ্ছে "গ্লোবালাইজেশন/বিশ্বায়ন" আমি যদি গ্লোবালাইজেশনকে ব্যাখ্যা করে বলি তাহলে  গ্লোবালাইজেশনের অর্থ দাড়ায় "In the era of globalization the whole world seems like a small village even the whole world can be brought within the four walls of home" সারা বিশ্বকে আপনি আপনার ছোট রুমের মধ্যেই নিয়ে আসতে পারবেন শুধু তা নয় সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে সবকিছু সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন তবে সর্ত আছে। পড়ে আসি কি এমন শর্ত, এখন আসি ভাষার কথায়। প্রতিটি ভাষা আল্লার নিয়ামত। আমরা যেকোন ভাষায় আল্লাহকে বলতে পারি তিনি সব জানেন সব বুঝেন কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সবদেশের মানুষের সাথে সব দেশের সসংস্কৃতি জানতে বুঝতে এবং বুজাতে আমাদের সবার একটা ভাষা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ইংরেজি যেটা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে পরিচিত। ইংরেজি ভাষা হচ্ছে এমন একটি ডানা যেই ডানা দিয়ে সারা বিশ্ব উড়তে পারে কোন কনফিউশন ছাড়া। কিন্তু আমাদের যুব সমাজ আজকের সোশ্যাল মিডিয়াতে যেই টাইম অতিবাহিত করতেছে, যেই টাইম নষ্ট করতেছে তার কিছু সুবিধাও তারা দিতে পারে, প্রত্যেকটা জিনিসের একটা ভাল এবং খারাপ দিক থাকে খারাপটা বাদ দিয়ে ভালটা লুফে নেওয়ার চালাকি এবং স্বার্থকতা। বর্তমান যুগে সবকিছু অনলাইনে পাওয়া যায়, আজকের দিনে সব ধরণের শিক্ষা অনলাইনে পাওয়া যায়। বিদেশি লেখকদের বই বা আর্টিকেল সবকিছু খব সহজেই পাওয়া যায় যদি ইংরেজির উপর একটা দক্ষতা থাকে।

এখন আমাদের প্রজন্মের লিখার যেই প্রথা বর্তমান বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে তা কখনো তাদেরকে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম নয় বরং আগের যে ক্ষুদ্র প্রেক্টিস ছিল তাও ভুলিয়ে দিতে বাধ্য করবে তাদের এই ami,tumi,agamikal এসব চর্চা। হয়তো নিজের দেশের ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে শুদ্ধ লিখার মাধ্যকে অথবা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজির উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে যদি নিজের ভাষা,সংস্কৃতি,এবং নিজের দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত বা শেয়ার করতে চাইলে। বর্তমান যুগে একটা ইংরেজির কোর্স অনলাইন থেকেই করা যায় কিন্তু সেই কোর্স কতটা কার্যকর হবে যদি যা শিখে তা লিখতে পারার সামর্থ না থাকে? পরিশেষে বলা যায়, যারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন চ্যাটিংয়ে সময় পার করতেছি তাদের উচিত হবে কিবোর্ডের ইংরেজি অপশন টা ব্যবহার করার চেষ্টা করা। ভুল হোক তাতে কোন সমস্যা নেই। কেউ জন্মের আগে থেকে শিখে আসেনা ভুলের মাধ্যমেই শিখে। আসলে যেই ভুল করেনা সে কিছুই করেনা। সুতারং ভুলের মাধ্যমে হলেও এই আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি শিখার চর্চাটা করতে হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo