• জাতীয়

চীন থেকে ১৭১ জনকে না আনার পরামর্শ রাষ্ট্রদূতের

  • জাতীয়
  • ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৫:০৫:৫৭

সিএনআই ডেস্ক: চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ বাংলাদেশিকে এখনই না ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ‘ঝুঁকি’ বিবেচনায় নিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশকে এমনটি ভাবার কথা বলেছেন তিনি। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টকে’ রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর গত ১ ফেব্রুয়ারি হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আনা হয়। তাদের আশকোনার হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন অবস্থায় (কোয়ারেন্টাইন) রেখে সুস্থতা নিশ্চিত হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়। হুবেই প্রদেশ থেকে ফিরতে আগ্রহী আরও ১৭১ বাংলাদেশি। এজন্য তারা আবেদন জানালেও এ ব্যাপারে সময় নিচ্ছে ঢাকা। রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ১৭১ জনকে এখনই ফেরত আনার দরকার নেই। কারণ ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তারা যেখানে আছেন, সেখানে সুরক্ষিতই আছেন। সেখানে যে ফ্লাইট তাদের আনতে যাবে, ওই প্লেন এবং তার পাইলট-ক্রুদের এখন অন্য কোনো দেশ ঢুকতে দেবে না। সেই ১৭১ বাংলাদেশিকে ফেরানোর ক্ষেত্রে চীনের অনুমতি মিলছে না বলে খবর ছড়ানোর বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, অনুমতি কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো টেকনিক্যাল। ফ্লাইটের পাইলট-ক্রুরাও এই টেকনিক্যাল জটিলতায় পড়বেন। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় চীনের দূতাবাস চীনাদের এ দেশে থাকার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন কাজে যুক্ত যারা চীনে ফিরে গেছেন, তাদের এখনই ফিরে আসতে নিষেধ করেছে। বাংলাদেশে থাকা কোনো চাইনিজ এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হননি। আবার চীনে থাকা কোনো বাংলাদেশিও আক্রান্ত হননি। দুর্ভাগ্যক্রমে সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা চলছে। বাংলাদেশে আট হাজারের মতো চাইনিজ কর্মী রয়েছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা নববর্ষ উপলক্ষে এই কর্মীদের এক দশমাংশ স্বদেশে ছুটিতে গেছেন। এই সংখ্যা খুব বড় না হলেও এরা কি-পারসন বিধায় প্রকল্পগুলোর কাজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লি জিমিং বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানিতে হয়তো সাময়িক প্রভাব পড়েছে। তবে চীন সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। চীনা নববর্ষের ছুটি শেষ হয়েছে। সবাই কাজে যোগ দিতে শুরু করেছে। পণ্য আমদানি-রফতানিতেও গতি আসবে। করোনাভাইরাস ছড়ানোর কারণে চীনের বদলে বিকল্প বাজার খোলার বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কথা-বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, হুট করে অন্য কোনো দেশ থেকে পণ্য খোঁজা এবং সে অনুযায়ী আমদানি করার সিদ্ধান্ত সহজ হবে না।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo