• আন্তর্জাতিক

তিন দিনের শোক পালন শেষে নিজ শহর কেরমানে সোলাইমানির দাফন

  • আন্তর্জাতিক
  • ০৪ জানুয়ারী, ২০২০ ১৫:০২:৫৯

তিন দিনের শোক পালন শেষে নিজ শহর কেরমানে নিহত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ও আল-কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মঙ্গলবার দাফন করা হবে। বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় শুক্রবার ভোরে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় বর্তমানের সময়ে বিশ্বের এই শীর্ষ জেনারেলকে। এতে ইরানজুড়ে যেমন শোক ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধ লাগারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার রাতেই তার মরদেহ তেহরানে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। এরপর ইমাম রেজার মাজারে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার জন্য শিয়াদের পবিত্র শহর মাশদাদে নিয়ে যাওয়া হবে। বিপ্লবী গার্ডস জানিয়েছে, সোমবার সকালে তেহরানে একটি শোকানুষ্ঠান হবে। এর তার মরদেহ মঙ্গলবার সকালে কেরমানে দাফন করা হবে। এদিকে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার জবাব সামরিক হামলায় দেয়া হবে হুশিয়ার করেছেন জাতিসংঘে ইরানি রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভানচি। বলেছেন, আল-কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা যুদ্ধের শামিল। সামরিক হামলার জবাব সামরিক হামলায় দেয়া হবে। শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বিমান বাহিনী। এতে মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কোনো যুদ্ধ চাচ্ছেন না। তবে মার্কিন হামলায় শীর্ষ জেনারেল নিহত হওয়ার ঘটনা চরম ক্ষুব্ধ করেছে ইরানিদের। শুক্রবার রাতে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইরানের দূত মজিদ তাখত বলেন, ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটা একটা যুদ্ধের শামিল। ‘আমাদের এক শীর্ষ জেনারেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে গত রাতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সামরিক যুদ্ধ শুরু করেছে। এর জবাবে ইরান কী করবে বলে আশা করা যায়? আমরা নীরব থাকতে পারি না। আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে, আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। ’ ইরানি এই কূটনীতিক আরও বলেন, গত রাতে যা ঘটেছে, তাতে আমরা চোখ বন্ধ রাখতে পারি না। নিশ্চিতভাবেই এর প্রতিশোধ নেয়া হবে, কঠিন প্রতিশোধ। সাক্ষাতকারে শেষে তিনি বলেন, সামরিক হামলার জবাব সামরিক হামলা। কে, কখন, কোথায়? (হামলার শিকার হবে) সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। এর আগে মিয়ামিতে ইভ্যানজিলিক্যাল সমর্থকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সোলাইমানি একটি বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। এছাড়া আমেরিকানদের বিরুদ্ধে আরও বহু হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সবচেয়ে বড় শত্রু সোলাইমানি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের মূলভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়া সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে সামরিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা নির্ধারণ করে দিতেন এই জেনারেল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবৈধ আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিশোধ নেবে ইরান। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে এই অবৈধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে এই ইরানি কূটনীতিক দাবি করেন। গত মাসের শেষ দিকে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ইরানের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মার-আ-লাগো রিসোর্টে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, কয়েক বছর ধরে কয়েকশ মার্কিন বেসামরিক লোক ও সেনা সদস্যকে হত্যা, হামলার লক্ষ্যবস্তু ও আহত করেছে সোলাইমানির অধীন বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ও তাদের নিষ্ঠুর কুদস ফোর্স। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক মার্কিন স্বার্থে হামলা সোলাইমানির নির্দেশনায়ই হয়েছে। তার এই দাবি অস্বীকার করে রাভানচি বলেন, তাদের যুক্তির সমর্থনে কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারবেন না। যদি তাদের হাতে কোনো প্রমাণ থাকে, তবে তারা দেখাক।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo