• বিশেষ প্রতিবেদন

মুক্তিযুদ্ধের আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোন বিকল্প ছিল না

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ১২:২৪:২৩

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোন বিকল্প ছিল না। তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং সরকার ব্যবস্থাপনাও সূচারুরূপে পরিচালনা করেছে। এমনকি আয়-ব্যয়ের হিসেব পর্যন্ত রেখেছে। মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে বিশ্ব জনমতকে পক্ষে আনা যা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছে।’ নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে, আর সেদিন থেকে এই স্থানটি পরিচিতি পায় মুজিবনগর নামে। তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। প্রবাসী বাংলাদেশি ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি বাংলাদেশে গমনকালে তাদের সন্তানদের এই ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করার অনুরোধ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা এবং জাতীয় চার নেতা যে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো এবং জাতিসংঘের প্রতিটি স্তরে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করব।’ এর আগে দিবসটির সূচনা করা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের সকল নেতাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা পর্ব শেষে মুজিবনগর সরকারের প্রয়াত সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo