• লিড নিউজ

হুমকির মুখে শত শত একর ফসলি জমি

  • লিড নিউজ
  • ২৯ মে, ২০১৮ ১৪:৫৫:২৯

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার এম কে ডাঙ্গী গ্রামের ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনের পর দিন মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাটি উত্তোলনের কারণে আশপাশের শত শত একর ফসলি জমি চরম ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জমি বিলীন হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছেন উপজেলার বি এস ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল করিমের ছেলে শেখ জাহাঙ্গীর।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদরের এম কে ডাঙ্গী গ্রামের প্রধান সড়ক ঘেঁষে ফকির বাড়ির পেছন দিকের বিস্তৃর্ণ ফসলি মাঠের পশ্চিম পারে মেহগনি বাগানের আড়ালে দুই বিঘা জমিতে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। ড্রেজার মালিক শেখ জাহাঙ্গীর লোকচক্ষুর আড়ালে ওই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ফসলি জমির মধ্যে দিয়ে পাইপ লাইন সংযোগ দিয়ে রমরমা মাটির ব্যবসা করে আসছেন। ফসলি মাঠের উত্তর পারে মাত্র ৪০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে ভাঙন কবলিত পদ্মা নদীর বর্তমান অবস্থান। একই মাঠের পশ্চিম পাড়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনরাত মাটি উত্তোলনের ফলে একদিকে পদ্মা নদীর ভাঙন আতঙ্ক। অন্যদিকে ফসলি মাঠে চলমান ড্রেজার মেশিনের তাণ্ডবে আসন্ন বর্ষায় আবাদি জমি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে এলাকার ৩০০ কৃষক পরিবার। এম কে ডাঙ্গী গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ও শাহজাহান শেখ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কেউ শুনে না বাপু। ড্রেজার মেশিন দিয়ে যেভাবে গভীর করে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে বর্ষার সময় শ্রোতের পাকে আশপাশের সব জমি নিয়া কুমে পইড়া যাইবো। ড্রেজার মেশিন মালিক শেখ জাহাঙ্গীর বলেন, ওই গ্রামের আবুল বাসার ফকিরের সঙ্গে দুই লাখ টাকা চুক্তিতে তার প্রায় দুই বিঘা জমির মাটি কিনে নিয়েছি। সেখান থেকেই ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করছি। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তি মালিকানা জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছি তাই প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন নাহার বলেন, ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ড্রেজারটি অপসারনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo