• অপরাধ ও দুর্নীতি

দুর্ধর্ষ ডাকাত মিলন-সাইফুলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:২৮:৪৫

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস খুনসহ ডাকাতি মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার শালগ্রামের সোলায়মান প্রামানিকের ছেলে মোঃ মিলন (৪১) কে বুধবার রাতে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানাধীন উত্তরপাড়া এলাকা হতে আটক করেছে র‌্যাব-৫। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০/০৮/২০২৪ তারিখ জনৈক আব্দুল্লাহ হিল কাফি নওগাঁর  সাপাহার উপজেলার সাপাহার ইউনিয়নস্থ সৈয়দপুর ব্রীজ এলাকায় পৌঁছামাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আনুমানিক ৮/১০ জন অজ্ঞাতনামা মুখোশপরা ডাকাতরা পরিকল্পিতভাবে রাস্তার দুই পার্শ্বে রশি টেনে গতিরোধ করে।

অজ্ঞাতনামা ডাকাতেরা তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি, লোহার রড ও শাবল দিয়ে ভিকটিম কাফির মাথায় স্বজোরে আঘাত করলে ভিকটিমের মাথা ও কপালে গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চিৎকার শুরু করেন। ভিকটিমের চিৎকার ও চেচামিচতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম কাফিকে উদ্ধার পূর্বক সাপাহার উপেজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করান।

তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিম কাফিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে গত ৩১/০৮/২০২৪ তারিখে ভিকটিম কাফি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় মৃতের ছেলে যোবায়ের আহমেদ বাদী হয়ে সাপাহার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে গত বুধবার (২০নভেম্বর) রাতে জেলার সদর থানাধীন কাঠালতলী এলাকা হতে সাপাহার থানার মামলা মোতাবেক চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী আরজি নওগাঁর মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৬০) কে আটক করা হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ০৯/১০/২০২৪ তারিখ জনৈক এরশাদ তার এলাকার লোকজনসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল ধানাধীন সোনাইচন্ডি হাটে মহিষ বিক্রি করে টাকা পয়সাসহ আরোও লোকজন ভটভটি ও ০১ জন মোটর সাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে আসছিলেন।

ঐ দিন সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলার সাপাহার ধানাধীন গোয়ালা ইউনিয়নস্থ মাইপুর খাড়িব্রীজ সংলগ্ন পাঁকা রাস্তায় পৌঁছিলে অজ্ঞাতনামা ০৮/১০ জন ডাকাতেরা উক্ত রাস্তার উপর গাছ ফেলে রাস্তা ব্লক করে এরশাদসহ ০৫ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের নিকট থেকে ৫,৬৬,৮০০ /টাকাসহ ০২টি মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাদীসহ অন্যান্য ভিকটিমেরা সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়।

ভিকটিমদের কারো কারো অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐ সকল ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে গত ১৪/১০/২০২৪ তারিখে ভিকটিম এরশাদ নিজে বাদী হয়ে নওগাঁ জেলার সাপাহার থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। আটককৃত উভয় ডাকাতদের সাপাহার থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস নোটের মাধ্যমে জানা গেছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo