• রাজনীতি
  • লিড নিউজ

রংপুরে বিএনপির ২ নেতার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

  • রাজনীতি
  • লিড নিউজ
  • ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:২৬:৩৪

ফাইল ছবি

রংপুর ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যান পরবর্তী নিহত-আহত এর পক্ষে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাওছার জামান বাবলা নামে অপর এক নেতা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে জিডিও করেছেন থানায়।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এর আগে, ১৮ নভেম্বর বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাওছার জামান বাবলা বলেন, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি তাজহাট থানা ও ডিবি অফিস পোড়ানো মামলায় জেল খেটেছি বিএনপি করার কারণে খুলনায় আমার জুটমিল দখল হয়েছে। আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর বিএনপি কর্মী মামুনুর রশীদ মামুন বাদী হয়ে ১৮১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া নিরীহ,নিরাপরাধ মানুষসহ রংপুর ও পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দাদের মামলার আসামি করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মামুন জানান, তিনি ২৫ জনের নাম দিলেও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামাসুজ্জামান সামু অন্যদের আসামি করে এজাহারে সই করাতে বাধ্য করেন। এ কথোপকথনোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। মামলা বাণিজ্যসহ নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি করার প্রতিবাদ করায় সামাসুজ্জামান সামু আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপ-প্রচারে মেতে ওঠেন। 

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো রংপুরের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা চাঁদাবাজী করেছেন সামু। দলের স্বার্থে এসবের প্রতিবাদ করায় বিভিন্নভাবে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।এ ব্যাপারে মাহিগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন বলেও জানান কাওছার জামান বাবলা।

এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর মহানিগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কাওছার জামান বাবলার বিরুদ্ধে দল ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামাসুজ্জামান সামু। সেই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের লোকজনদের স্থান করে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সামু।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু আরও বলেন,রংপুরের একটি মহল বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।বিএনপির ভেতরে ঘামটি মেরে থাকা একটি চক্র জনসম্মুখে দলের ভাবমূর্তি নস্ট করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।তারা পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী দোসরদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে।এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন জনকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের নামে তা চালিয়ে দেওয়ার কূটকৌশল করছে।এই মহলটি দলীয় পদ-পদবির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। কিন্তু তারা বিগত খুনি হাসিনা হঠাও আন্দোলনে কোনো মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নেয়নি।বরং তারা আন্দোলনকে ব্যাহত করতে নানা প্রকার প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে।

এদিকে যে মামলা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ,সেই মামলা নিয়ে বিষয়ে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলার প্রতিবাদ ও মামলা বাণিজ্যের হোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে ১৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর নুরুন্নবী ফুলু।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না বর্তমানেও নেই। মামলার বাদি মামুনুর রশীদ মামুনকে আমি চিনি না। তিনি আমাকে চেনেন না। শুধু মাত্র হয়রানি ও বাণিজ্যের জন্য আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমাকে মামলায় জড়ানোর ঘটনায় আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে মামলা থেকে অবিলম্বে তার নাম প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক মামলা বাণিজ্যে জড়িত হোতাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান সাবেক কাউন্সিলর নুরুন্নবী ফুলু।

রংপুরে নিহত-আহত এর পক্ষে মামলা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে দলের মধ্যে অন্তর্কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo