ছবিঃ সিএনআই
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন উপজেলায় পতিত জমিতে পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষকরা। বাজারে পেঁপের ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় কৃষকরা খুশি। এছাড়াও অল্প খরচে পেঁপের অধিক ফলন ও দামে বিক্রি করতে পারা যায় বলে দিন দিন পেঁপের চাষ বাড়ছে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা রেডলিপ, শাহী, কাশ্মিরি, টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী।
সরেজমিন দেখা যায় যে,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফেরসা ডাঙ্গীর গ্রামের চাষি ইসুফ, আনোয়ার হোসেন ও ইব্রাহিম, মকরুম প্রতাপ বিভিন্ন গ্রামে পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন। এছাড়ও আরো বিভিন্ন উপজেলার চাষিরা পেঁপে চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
চাষিরা জানান, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর পেঁপের বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁপে বিক্রি করে লাভও বেড়েছে কয়েকগুণ। ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে বেশ জনপ্রিয়। পেঁপের সারাবছরই চাহিদা থাকে। আগে পেঁপে বাড়ির আঙিনায় চাষ হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। প্রতি মণ সময় ভেদে ৬’শ থেকে প্রায় ১৪’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন এই পেপেঁ । চাষিরা পেঁপে বিক্রি করে চাষিরা ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছেন।
ফেরসা ডাঙ্গি গ্রামেন ইসুফ বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে দুটি ঘেরের পাড়ে পেঁপের চাষ করছি। প্রতিটি গাছেই পেঁপের ফলন এসেছে। প্রতিটা পেঁপে গাছে প্রায় ৩০-৪০ কেজি পেঁপে ধরে। আমার বাগানে শাহী, কাশ্মিরি, টপ লেডি জাতের ৯ শতাধিক পূর্ণবয়স্ক পেঁপে গাছ রয়েছে। বাগান থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কেজি ওজনের পেঁপে সংগ্রহ করছি। এবছর আরো ৫’শ মণ পেঁপে বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজে বাগান করার পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ফ্রি পেঁপে চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। আমি আগামীতে আরো বেশি জমিতে পেঁপের চাষ করবো।
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ তথ্য বলেন, এই উপজেলার অনেকগুলো পেঁপের বাগান রয়েছে। চাষিরা বাগানে খুব পরিশ্রম করছেন। পেঁপের চাষ আরো ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে চাঁদাবাজি মামলায়...
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় আমড়াতলী ম...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২০২১ সালের ২...
নওগাঁ প্রতিনিধি: সরকারের ঘোষণা মোতাবেক সারাদেশের ন্...
মন্তব্য ( ০)