• সমগ্র বাংলা

ফেনীতে ২ জনের লাশ উদ্ধার

  • সমগ্র বাংলা
  • ১১ জুন, ২০২৪ ১৯:৩২:৫৩

ছবিঃ সংগৃহীত

ফেনী প্রতিনিধিঃ ফেনীতে এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার ও সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় চালককের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ও সোমবার দিবাগত রাতে একই উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের সুদের পুকুরপাড় এলাকা নামক স্থানে এ পৃথক দুটি  ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিকশাচালক মো. মনজুর আলম (৪২) ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের খায়ের আহম্মদ সওদাগর বাড়ির মো. ফজলুল হকের ছেলে ও ট্রাক চালক নুর মোহাম্মদ (৩৬) চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার রশিদের পাড়ার এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছনুয়ায় ঢাকামুখী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলার সময় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ সড়ক বিভাজকের ভেতর আটকে যায়। খবর পেয়ে ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই স্থানে গিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় চালক নূর মোহাম্মদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। ফেনীর ফাজিলপুর (মুহুরীগঞ্জ) হাইওয়ে থানার ওসি মো. রাশেদ খান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে এর আগে সোমবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সুদের পুকুরপাড় এলাকা থেকে মো. মনজুর আলম (৪২) নামের এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের পাশে পড়ে থাকা তার অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় বোগদাদিয়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই বিপুল চন্দ্র দে বলেন, রাত সাড়ে ১২টায় দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লস্করহাট- ফাজিলপুর সড়কের পাশে থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশটি উদ্ধার ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহযোগিতায় আঙুলের ছাপ নিয়ে পুলিশ লাশের পরিচয় বের করেন।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের সময় ওই স্থান থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে-কারা, কী কারণে মনজুরকে হত্যা করেছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo