• আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৬৪৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

  • আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ
  • ০৪ জুন, ২০২৪ ১০:৫৫:৫৪

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামছেই না। সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়, পানি আর খাবারের সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে।

নিরীহ ফিলিস্তিনিরা যেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছে তারা। আশ্রয়হীন এসব মানুষ জানে না যে এখন তারা কোথায় যাবে। 

এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিশ্চিত করেছেন যে, হামাসকে এখন যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত। তিনি আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার পুরো চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অবরুদ্ধ রাফা শহরজুড়ে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এছাড়া দক্ষিণ ও মধ্য গাজার বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৬ হাজার ৪৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮২ হাজার ৭৭৭ জন।

এর আগে গাজায় চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। হামাস এতে রাজি থাকলে ইসরায়েলও মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবি এ কথা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি তুলে ধরেন।

সেখানে বলা হয়েছে, মোট তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এর প্রথম ধাপ শুরু হবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে। সে সময়ে গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হবে, দেওয়া হবে মানবিক সহায়তাও। একই সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী এবং জিম্মি বিনিময় হবে বলেও পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। 

যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা প্রকাশ করলেও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার রাফা শহরে বিমান হামলা জোরদার করেছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর দেওয়া তথ্যমতে, হামলার মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পর রাফার ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের সবগুলো এখন খালি পড়ে আছে। একই সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী এবং জিম্মি বিনিময় হবে বলেও পরিকল্পনায় বলা হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo